যমুনার বুকে এখন দৃশ্যমান ৪.৮ কিলোমিটার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতুর পুরো কাঠামো। মোট ৫০টি পিলারের উপর বসানো হয়েছে ৪৯ টি স্প্যান। ইতোমধ্যে সেতুর উপর বসানো শুরু হয়েছে স্লিপারবিহীন রেল ট্র্যাক। পাশাপাশি সমান তালে এগিয়ে চলছে এপ্রোচ ডবল লাইনের রেলপথ বসানোর কাজও। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছে, নিদিষ্ট সময়ের মধ্যেই পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
যমুনার বুকে দ্রুত এগিয়ে চলেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতুর নির্মাণ কাজ। ইতোমধ্যে নদীর উপর দৃশ্যমান সেতুর ৪.৮ কিলোমিটারের মূল কাঠামোর পুরোটায়। মোট ৫০ টি পিলারের উপর বসানো হয়েছে ৪৯ টি স্প্যান। সেই সঙ্গে সেতুর স্প্যানে স্লিপার বিহীন রেললাইন বসানোর কাজও চলছে সমান তালে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু প্রকল্পের সাইড ইঞ্জিনিয়ার ফেরদৌস ওয়াহেদ বলেন, দেশের দীর্ঘতম এই রেল সেতুর মূল কাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি নদীর দুই পাড়ে চলছে এপ্রোচ ডাল লাইনের রেলপথ বসানোর কাজও। রাত দিন দেশি বিদেশি প্রকৌশলী আর কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এগিয়ে চলেছে প্রকল্পের নির্মাণ যজ্ঞ। ২৪ ঘণ্টায় দুই শিফটে রাত দিন চলছে সেতুর কাজ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু প্রকল্পের (বাঁধ ও রেলপথ) প্রকৌশলী মোশাররফ হোসেন জানান, নদীর পূর্বপাড় টাঙ্গাইল অংশে থাকছে ৪ দশমিক ২ কিলোমিটার এপ্রোচ ডবল লাইন সুবিধা। আর নদীর পশ্চিম পাড় সিরাজগঞ্জ অংশে থাকছে ৩.৮ কিলোমিটার। এরই মধ্যে টাঙ্গাইল অংশে ৯০ শতাংশ আর সিরাজগঞ্জ অংশে ৮৫ শতাংশ এপ্রোচ রেলপথের কাজ শেষ হয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক মাসুদুর রহমান বলেন, সেতুর পুরো কাজের অগ্রগতি বেশ সন্তোষজনক। পুরো প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি ৮৫ শতাংশ। নির্ধারিত সময় অর্থাৎ ডিসেম্বর ২০২৪ এর মধ্যেই পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ করার আশা রয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রায় ১৬ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতু প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে জাইকা।