গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত রাস্তায় সাম্প্রতিক সময়ে মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। বর্ষা মৌসুমেও এই রাস্তায় বিআরএ প্রজেক্টের কাজ চলমান থাকায় প্রতিদিন অবর্ণনীয় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে অফিসগামী মানুষকে। ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা ৩৭টি জেলার মানুষকে। যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হচ্ছে। তাদের ভোগান্তি লাঘব করতে আগামী রোববার (২০ জুন) থেকে গাজীপুর-টঙ্গী-ঢাকা ও ঢাকা-টঙ্গী-গাজীপুর রুটে ট্রেন সার্ভিস চালু হতে যাচ্ছে।
বুধবার (১৬ জুন) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমনটাই ঘোষণা দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, এমপি।
এ বিষয়ে মন্ত্রী ফেসবুকে লিখেন, ‘এই দুর্ভোগের হাত থেকে মানুষদের কিছুটা হলেও রক্ষা করতে আজ (১৬ জুন) রাতে মাননীয় রেলমন্ত্রী মহোদয়ের সাথে কথা বলে আগামী রবিবার থেকে গাজীপুর থেকে টঙ্গী হয়ে ঢাকা এবং ঢাকা থেকে টঙ্গী হয়ে গাজীপুর পর্যন্ত বিশেষ ট্রেন সার্ভিস চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। মাননীয় রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন মহোদয় এর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। জনগণের দুর্ভোগ লাগবে আমার পক্ষ থেকে ভবিষ্যতেও সকল ধরণের উন্নয়ন প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’এর আগে তিনি আরও লিখেন, ‘গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত রাস্তাটিকে যানজট মুক্ত করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বিআরটি প্রজেক্ট আমাদেরকে উপহার হিসাবে দিয়েছেন। কিন্তু ঠিকাদারদের ক্রমাগত দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কারণে অনেক বছর ধরে ধীর গতিতে কাজ করায় মানুষের দুর্ভোগের কোনো সীমা নেই। আবার যখন বর্ষাকাল আসে এই দুর্ভোগ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়।’
‘বিআরটি প্রজেক্টে দায়িত্ব পালনরত সচিব, পিডি সহ সকলকে প্রায় প্রতিদিনই কয়েকবার করে ফোন করছি যাতে টঙ্গী গাজীপুরবাসীসহ এই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী প্রায় ৩৭টি জেলার মানুষদের এই দুর্ভোগের হাত থেকে দ্রুত রক্ষা করা যায়। সিটি কর্পোরেশন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা প্রশাসনসহ সবাই আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছেন। উপরন্তু গাজীপুর যাওয়ার সকল বিকল্প রাস্তাগুলোতে একসাথে কাজ চলমান থাকায়, সেই রাস্তাগুলো বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে না পারায় এই দুর্ভোগ যেন আরও বেড়ে গেছে।’
এরপর তিনি আগামী রোববার থেকে বিশেষ ট্রেন সার্ভিস চালুর ঘোষণা দেন।