বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দরে বড় দরপতন হয়েছে। এক ধাক্কায় প্রতি ব্যারেলের দাম ৬ শতাংশ কমে নেমে এসেছে ১০০ ডলারে।
রয়টার্স জানিয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ডামাডোলে অস্থির তেলের বাজারে আগুন নেভাতে বৃহস্পতিবার বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র তার কৌশলগত পেট্রোলিয়াম ভান্ডার (রিজার্ভ) থেকে রেকর্ড ১৮ কোটি ব্যারেল তেল বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে। আর তাতেই বিশ্ব অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টায় ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট অপরিশোধিত তেল ৬ শতাংশ কমে প্রতি ব্যারেল ১০১ ডলার ৭৬ সেন্টে নেমে এসেছে। আর ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দর প্রায় একই পরিমাণ কমে ১০৭ ডলার ৬৬ সেন্টে বিক্রি হচ্ছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলার পর থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল তেলের দাম; এক পর্যায়ে প্রতি ব্যারেল ১৩৯ ডলারে গিয়ে ঠেকেছিল। সপ্তাহখানেক ১০৮ থেকে ১২০ ডলারের মধ্যে ওঠানামা করে। যুদ্ধের অবসান ঘটাতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে নতুন করে আলোচনায় বসার কূটনৈতিক প্রচেষ্টার খবরে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামের ঊর্ধ্বগতি প্রশমিত হয়। এ ছাড়া চীনে নতুন করে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় লকডাউনের আশঙ্কায় তেলের চাহিদা কমে যেতে পারে, এমন খবরে তেলের দরে পতন হয়।
১৫ মার্চ দুই ধরনের তেলের দামই ১০০ ডলারের নিচে নেমে আসে। কিন্তু কাজাখস্তানে প্রবল ঝড়ের কারণে বার্থ (জাহাজ ভেড়ানোর জায়গা) ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় রাশিয়ার তেল রপ্তানি প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। আর তাতেই আবার বেড়ে যায় দাম। ২৩ মার্চ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট তেলের দাম ১১৫ ডলারে গিয়ে উঠে। ব্রেন্ট তেলের দর ১২২ ডলার ছাড়িয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বেলা দেড়টায় দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন বলে হোয়াইট হাউস সূত্রে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা না হলেও তেল ও গ্যাসের দাম কমানোর পদক্ষেপ নিয়ে তিনি ঘোষণা দেবেন বলে জানানো হয়েছে।