যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য-পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চলে শক্তিশালী টর্নেডোর আঘাতে লন্ডভন্ড হয়েছে ছয়টি অঙ্গরাজ্য। এর মধ্যে পাঁচটি অঙ্গরাজ্যে প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৮ জনে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে অনেকে। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
টর্নেডোয় শুধু কেনটাকি অঙ্গরাজ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৭৪ জনের। টেনেসি, আরকানসাস, মিসৌরি ও ইলিনয় অঙ্গরাজ্যে প্রাণহানি হয়েছে ১৪ জনের। তবে মিসিসিপিতে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
বিজ্ঞাপন
গত শুক্রবার দিবাগত রাতে ৩৬৫ কিলোমিটার গতিতে কেনটাকি জুড়ে আঘাত হানে টর্নেডো। ভেঙে পড়ে সেখানের ঘরবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো। ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে জীবিত ব্যক্তিদের উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।
এবারের টর্নেডোকে কেনটাকির ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বলে আখ্যায়িত করেছেন গভর্নর অ্যান্ডি বেশিয়ার। ৭৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নিহতদের মধ্যে পাঁচ মাসের শিশু থেকে ৮৬ বছরের বৃদ্ধও রয়েছে। এখনো ১০৯ জনের হিসাব মিলছে না। হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতি পরিমাপ করতে কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।
গভর্নর বেশিয়ার বলেন, টর্নেডোর আঘাতে মেফিল্ড শহরের একটি মোমবাতি কারখানা বিধ্বস্ত হয়। সেখানে শুক্রবার রাতে ১১০ জনের মতো লোক কাজ করছিলেন। তাঁদের মধ্যে আটজন মারা গেছেন এবং আরও আটজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন কারখানার মালিক। বাকি ৯৪ জন জীবিত রয়েছেন বলা হচ্ছে। তবে এই সংখ্যার কোনো হিসাব মিলছে না।
মোমবাতি কারখানায় আটজনের মৃত্যুর বিষয়টি যাচাই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গভর্নর বেশিয়ার। সেখানে আরও ভয়াবহ কিছু ঘটেছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, টর্নেডোয় ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শন করতে স্থানীয় সময় আগামীকাল বুধবার মেফিল্ডে যাবেন তিনি।
এর আগে গত শনিবার কেনটাকিতে জাতীয় জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করেন বাইডেন। এ কারণে ফেডারেল সরকারের তরফ থেকে তহবিল ও অন্যান্য সহযোগিতা পাবে কেনটাকি।
শক্তিশালী এই টর্নেডোতে বিপর্যস্ত সব এলাকাকে সাহায্য করার জন্য ফেডারেল সরকার সম্ভাব্য সবকিছু করবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন বাইডেন।