যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী প্রধান হিসেবে অ্যাডমিরাল লিসা ফ্রানচেত্তির নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন সিনেট। এর ফলে তিনিই হচ্ছেন মার্কিন নৌবাহিনীর প্রথম নারী প্রধান। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী হিসেবে জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ পদের দায়িত্ব সামলাবেন লিসা।
সম্প্রতি চিফস অব নেভাল স্টাফ নিয়োগের বিষয়ে মার্কিন সিনেটে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিসার পক্ষে ৯৫টি ও বিপক্ষে একটি ভোট পড়ে।
নৌবাহিনীতে ৩৮ বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে লিসার। তিনি প্রায় সব পর্যায়ে কমান্ডার ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ষষ্ঠ নৌবহর ও দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন নৌসেনাদের সাবেক প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন লিসা। তিনিই দ্বিতীয় নারী, যাকে ফোর স্টার অ্যাডমিরাল করা হয়েছিল।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত জুলাই মাসে লিসাকে নৌবাহিনীর প্রধান করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার ও সেনাবাহিনীর আরও কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার পদোন্নতির বিষয়টি আটকে গিয়েছিল।
রিপাবলিকান সেনেটর টমি টিউবারভিলের আপত্তির জন্যই এতদিন তা থেমে ছিল। গর্ভপাতের ক্ষেত্রে সেনা সদস্যদের ভ্রমণ নীতি নিয়ে আপত্তি ছিল টমির।
গত বছর মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেয়। তারা জানিয়ে দেয়, গর্ভপাত হলো সাংবাধানিক অধিকার। তাই সেনা সদস্যরা কোনো রাজ্যের বাইরে গিয়ে গর্ভপাত করাতে পারবেন। পেন্টাগন তার খরচ দেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের অনেক রাজ্যেই গর্ভপাতের বিষয়ে কড়াকড়ি রয়েছে। পেন্টাগনের মত ছিল, কোনো সেনা সদস্যকে কোনো রাজ্যে কাজের জন্য থাকতে হতে পারে। কিন্তু অন্য রাজ্যে গিয়ে গর্ভপাত করানোর অধিকার তার রয়েছে।