বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ যুক্তরাষ্ট্রে ৬০ লাখ ডলার রেখে গেছেন। নিউইয়র্কের ম্যানহাটন সারোগেট আদালতে ফাহিমের বোন রিফায়েত সালেহ তার ভাইয়ের সম্পত্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে আবেদন জানিয়েছেন। এই আবেদনের সূত্র ধরেই জানা যায়, ফাহিম ৬০ লাখ ডলার রেখে গেছেন। খবর নিউইয়র্ক পোস্টের।
গত বছরের জুলাইয়ে নিউইয়র্কের হাউস্টন স্ট্রিটের অ্যাপার্টমেন্টে খুন হন তিনি। ফাহিমের হত্যাকারী হিসেবে তার ব্যক্তিগত সহকারী টাইরেস ডিভো হ্যাসপিলকে গ্রেফতার করা হয়। এখন তার বিচার চলছে। ফাহিম অবিবাহিত ছিলেন। খুন হওয়ার আগে ফাহিম কোনো আইনগত উত্তরাধিকারপত্র (উইল) রেখে যাননি।
ম্যানহাটনের অ্যাপার্টমেন্টের জন্য ফাহিমের ১৮ লাখ ডলারের ঋণের তথ্য রয়েছে আদালতে করা তার আবেদনে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন আইন রয়েছে। নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য আইন অনুযায়ী, ফাহিম অবিবাহিত হওয়ায় এবং কোনো উইল না থাকায় তার সমুদয় অর্থের আইনগত উত্তরাধিকার হবে তার মা রায়হানা সালেহ ও বাবা সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
পরিবারের পক্ষ থেকে আদালতে ফাহিমের রেখে যাওয়া অর্থের জন্য দ্রুততার সঙ্গে প্রশাসক নিয়োগের আবেদন জানানো হয়েছে। ফাহিমের ব্যবসার কার্যক্রম চালিয়ে নেয়ার জন্য এটা প্রয়োজন বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। আদালতে করা আবেদনে বলা হয়েছে, চূড়ান্ত সাফল্যের আগেই ফাহিমকে নিষ্ঠুরতার সঙ্গে স্তব্ধ করে দেয়া হয়েছে। বাবা, মা ও বোনেরা ফাহিমের ব্যবসা ও তার স্বপ্ন টিকিয়ে রাখতে ইচ্ছুক।
বিচারক ফাহিমের অর্থ থেকে ৪০ লাখ ডলার উত্তোলনের জন্য আবেদনকারীকে অনুমোদন দিয়েছেন। এ ব্যাপারে নিউইয়র্ক পোস্টসহ একাধিক সংবাদমাধ্যম পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তবে পরিবার এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চায়নি।
করোনাভাইরাস, লকডাউনসহ নানা কারণে নিউইয়র্কের আদালতগুলোর কার্যক্রম এখনো স্বাভাবিক হয়নি। ফাহিম সালেহ হত্যায় জড়িত হ্যাসপিল সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো নতুন তথ্য আর জানায়নি পুলিশ।