যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে বৃহত্তর যুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষমতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের চলমান যৌথ সামরিক মহড়ার প্রতিক্রিয়ায় বুধবার (৬ মার্চ) এই আহ্বান জানিয়েছেন কিম। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এই খবর জানিয়েছে।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই মহড়ার প্রতিক্রিয়া জানাবে এমন প্রতিশ্রুতি দেওয়ার দুইদিন পরই এমন আহ্বান জানালেন কিম। দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের এমন মহড়াকে আক্রমণের অনুশীলন হিসেবে বিবেচনা করে উত্তর কোরিয়া।
রাষ্ট্রীয় কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) জানিয়েছে, ওইদিন একটি পশ্চিমা অপারেশনাল ট্রেনিং বেস পরিদর্শন করেন কিম জং উন। এসময় সামরিক বাহিনীকে ‘প্রকৃত যুদ্ধ মহড়া জোরদার করার’ তাগিদ দেন কিম। আর এ জন্য ‘নিখুঁত যুদ্ধ প্রস্তুতির লক্ষ্যে তাদের যুদ্ধ সক্ষমতা দ্রুত উন্নত করার’ নির্দেশও দেন তিনি।
এ সময় কিম আরও বলেন, ‘অপ্রতিরোধ্য শক্তির ব্যবহার করে শত্রুদের দেওয়া হুমকি রুখতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতির প্রয়োজন।’
কেসিএনএ জানিয়েছে, সাইটটিতে সামরিক ইউনিটগুলোর কৌশল পরিচালনা করেছিলেন কিম। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
রাষ্ট্রীয় মিডিয়া প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, শ্যুটিংস্পটে কালো রঙয়ের একটি চামড়ার জ্যাকেট পরে একটি রাইফেল তাক করে দাঁড়িয়ে আছেন কিম।
দেশটির শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর জন্য এর আগেও বহুবার একই ধরনের আহ্বান জানিয়েছেন কিম। তবে এবার দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনির্দিষ্ট ‘দায়িত্বপূর্ণ সামরিক কার্যক্রম’ পরিচালনা করার হুমকি দেওয়ার দুই দিন পরই এমন আহ্বান জানালেন তিনি।
সোমবার দক্ষিণ কোরীয় এবং মার্কিন সামরিক বাহিনী ১১ দিনব্যাপী তাদের বার্ষিক কম্পিউটার-সিমুলেটেড কমান্ড পোস্ট প্রশিক্ষণ এবং বিভিন্ন ক্ষেত্র অনুশীলন শুরু করেছে। চলতি বছরের মহড়াগুলোতে ৪৮টি ক্ষেত্রে অনুশীলন করেছিল তারা। এ সংখ্যা গত বছরে পরিচালিত মহড়ার সংখ্যার দ্বিগুণ। তবে উভয় দেশই দাবি করেছিল, তাদের এ মহড়া প্রতিরক্ষামূলক।
অবশ্য উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য অস্ত্র পরীক্ষার মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ববর্তী সামরিক মহড়াগুলোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।