1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫২ অপরাহ্ন

যে প্রযুক্তির বগি না থাকায় এত বেশি হতাহত : ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ৩ জুন, ২০২৩

ভারতের ওড়িশা রাজ্যে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ২৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ছয় শতাধিক। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উদ্ধারকাজ শেষ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওড়িশার বালাসোর জেলার বাহাঙ্গাবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের বগিগুলো চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে তৈরি পুরনো কোচ। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, এক্ষেত্রে জার্মান প্রযুক্তির লিঙ্ক হফম্যান বুশ (এলএইচবি) বগি থাকলে কি ক্ষয়ক্ষতি আরও কম হত?

সাধারণ বগির থেকে এলএইচবি বগি বেশ কিছু মাপকাঠিতে অনেক উন্নত। এলএইচবি বগির প্রধান বৈশিষ্ট্য, ট্রেন দুর্ঘটনায় পড়লে এটি উল্টে যায় না। দু’টি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে সাধারণ বগি সজোরে ছিটকে পড়ে এবং উল্টে যায়। কিন্তু, জার্মান প্রযুক্তিতে তৈরি এলএইচবি বগি ক্ষেত্রে এই আশঙ্কা নেই বললেই চলে। সঙ্গে থাকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি নিউম্যাটিক ব্রেক। ট্রেন তীব্র গতিতে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হলেও এর মাধ্যমে আচমকা গতিবেগ কমে যাওয়াকে অনেকটাই সামাল দেওয়া যায়।

যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য-সহ সার্বিক বিচারেও সাধারণ বগির তুলনায় এলএইচবি বগি অনেক এগিয়ে। এলএইচবি কামরার ভিতরের অংশ অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি বলে অপেক্ষাকৃত হালকা, বাকি অংশ স্টেইনলেস স্টিলের। ঝাঁকুনি কম হওয়ায় ভ্রমণের স্বাচ্ছন্দ্য অনেক বেশি। সাধারণ বগির মতো কানে তালা লাগানো আওয়াজ হয় না। এই বগি থাকলে ট্রেন প্রতি ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারে। যেমন গতি বাড়ে দ্রুত, তেমনই কমতেও পারে।

২০০০ সাল থেকেই এই এলএইচবি বগি ব্যবহার করছে ভারতীয় রেল। প্রথমে শতাব্দী এক্সপ্রেসের জন্য ২৪টি বগি জার্মানি থেকে আমদানি করা হয়। পরে প্রযুক্তি আমদানি করে পাঞ্জাবের কাপুরথালার রেল কোচ কারখানায় ওই বগি তৈরি করা হচ্ছে। শতাব্দী ও রাজধানী এক্সপ্রেস ছাড়াও একগুচ্ছ ট্রেনে এখন এলএইচবি বগি ব্যবহার করা হচ্ছে। আর এখানেই প্রশ্ন, করমন্ডল এক্সপ্রেসের মতো এমন প্রথমসারির দূরপাল্লার ট্রেনে কেন এলএইচবি বগি ব্যবহার করা হল না? আর স্বভাবতই এই দুর্ঘটনার পর ভারতীয় রেলের নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি