রংপুর : আর কদিন পরে ঈদুল ফিতর। প্রতি ঈদে নিম্ন আয়ের দরিদ্র মানুষের ভরসা ছিল ভিজিএফ এর চাল। কিন্তু রংপুর সিটি করপোরেশনে ভিজিএফ এর কোন প্রকার বরাদ্দ আসেনি। ভিজিএফ চাল না পেলে রংপুরের হতদরিদ্র সাড়ে ৫ লাখ মানুষ বেকায়দায় পড়বে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর ১০ থেকে ১২ বমজানের মধ্যে ভিজিএফ এর বরাদ্দ আসে। কিন্তু এখন বরাদ্দ পাওয়ার কোন লক্ষন নেই। জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা বলছে, এখন পর্যন্ত ঢাকা থেকে ভিজিএফ এর ব্যাপারে কোন নির্দেশনা কিংবা কোন প্রকার বরাদ্দের খবর পাওয়া যায়নি। বরাদ্দ আসবে কিনা এবিষয়টি অনিশ্চিত।
এর আগের বছরগুলোতে ঈদের সময় সিটি করপোরেশনসহ উপজেলা পর্যায়ে ভিজিএফ চাল বিতরণ করা হত। ভিজিএফ কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে এই চাল বিতরণ করা হয়ে থাকে। কিন্ত এখন পর্যন্ত ভিজিএফ এর চালের কোন বরাদ্দ না আসায় হতদরিদ্র্য পরিবার হতাশ হয়ে পড়েছে। করোনার কারণে এমনিতে এই মানুষগুলোর খাদ্য কষ্ট চরম সীমায় পৌছেছে। আশা ছিল ঈদের আগে আগে ভিজিএফ’র চাল পাবে কিন্তু সে আশা এখন তাদের দুরাশা হতে বসেছে। ভিজিএফ’র বিষয়ে সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।
বিগত দিনের ভিজিএফ প্রাপ্ত রমজান, আলমগীরসহ কয়েক জনের সাথে কথা হলে তারা জানান, করোনা প্রভাবে এমনিতেই কর্মহীন অবস্থায় রয়েছি। ঈদের অগে ভিজিএফের চাল পরিবারে জন্য বিরাট সহায়তা হত। কিন্তু এপর্যন্ত চাল পাওয়ার কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছেনা। ভিজিএফ এর চাল যদি না পাওয়া যায় তাহলে মারাত্মক বেকায়দায় পড়তে হবে তাদের।
জেলা পুনর্বাসন ও ত্রাণ কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান জানান, এবার সিটি করপোরেশন এলাকায় এখন পর্যন্ত ভিজিএফ এর কোন বরাদ্দ আসেনি। এই অল্প সময়ে ভিজিএফ এর বরাদ্দ আসার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ বলে তিনি জানান।