মোঃ আফ্ফান হোসাইন আজমীর, রংপুর প্রতিনিধিঃ
রংপুরে গত বছরের চেয়ে এবার ইফতার সামগ্রীর দাম অস্বাভাবিক বাড়ায় ক্রেতারা খুবই বেকায়দায় পড়েছেন। রংপুর নগরীর কাচারিবাজার, পায়রা চত্বর, জাহাজ কোম্পানি মোড়, শাপলা চত্বর, মেডিকেল মোড়, সিও বাজার, লালবাগ, সাতমাথা, মডার্ন মোড় ও মাহিগঞ্জসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দুপুরের পর থেকে দোকানগুলোতে ইফতারির পসরা সাজিয়ে রাখা হচ্ছে।
কিন্তু অন্যান্য বছর দুপুরের পর থেকে ৬টা পর্যন্ত ক্রেতাদের ভিড় ও বিক্রেতার ব্যস্ততায় সরগরম হয়ে উঠত ইফতার বাজার। তবে এবার সেই চিত্র এখনো দেখা যায়নি। নিম্ন আয়ের মানুষজনসহ শ্রমজীবীরা দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন।
তারপরও রংপুর নগরীসহ জেলার আট উপজেলায় ছোট-বড় সব ইফতার দোকান মিলে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকার ইফতার সামগ্রী বিক্রির আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে ক্রেতারা অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও ভেজাল প্রতিরোধে বাজার মনিটরিংয়ের দাবি করেছেন।
রোজাদারদের কাছে ইফতার সামগ্রীর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ধরনের খেজুর ও মুড়ি। এবার খেজুর প্রকারভেদে সাড়ে তিনশ টাকা থেকে ১২শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। মুড়ির কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। অন্যান্য সামগ্রীর মধ্যে জিলাপি ২০০ থেকে ২৪০ টাকা। বুন্দিয়া ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা, সিদ্ধ ছোলা ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, ছানার পোলাও ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, বেগুনি ১০ থেকে ২০ টাকা পিস, আলুর চপ ৫ থেকে ২০ টাকা, পেঁয়াজু ৫ থেকে ১০ টাকা, সবজি রোল ১০ থেকে ২৫ টাকা, শামী কাবাব ২০ থেকে ৫০ টাকা, নিমকপোড়া ও চিড়া ভাজা ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। রেশমি জিলাপি ৩৬০ টাকা কেজি, শাহী হালুয়া প্রতি পিস ২০ টাকা, প্রতি হালি কলা প্রকারভেদে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
নগরীর জাহাজ কোম্পানি মোড় এলাকায় ইফতার সামগ্রী কিনতে আসা নুর মোহাম্মদ রিজু ও মিঠু মিয়া বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ইফতার সামগ্রীর দাম দ্বিগুণ হয়েছে। কয়েকজন ক্রেতা বলেন, দাম বাড়ার কারণে ইফতার আইটেম কম কিনেছি। অনেকেই তাদের পছন্দের ইফতার কিনতে পারছেন না। আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, আটা, ময়দা, তেলের যে পরিমাণ দাম বেড়েছে সে তুলনায় ইফতারির দাম বাড়েনি।
কয়েকজন ক্রেতার অভিযোগ, ইফতার সামগ্রীতে মেশানো হচ্ছে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ও রং। কর্তৃপক্ষের মনিটরিং না থাকায় ছোট-বড়-মাঝারি অধিকাংশ দোকানে দেদার এসব ইফতার সামগ্রীর বেচাকেনা চলছে।