রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে সব আঘাত থেকে রক্ষা করতে পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ রবিবার ২০২২ সালের পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পূর্বসূরিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে সর্বশক্তি দিয়ে রক্ষা করতে হবে। আমার বিশ্বাস, জনবান্ধব পুলিশিংয়ের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার পাশাপাশি গণতন্ত্র রক্ষায় পুলিশ বাহিনীর প্রতিটি সদস্য নিজেদের দায়িত্ব পালন করবে।
এ সময় দেশের বিভিন্ন দুর্যোগে পুলিশের সেবামূলক কার্যক্রমের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার সময় পুলিশ মানুষের ঘরে খাবার পৌঁছে দিয়েছে। যখন মানুষ আত্মীয় স্বজনের লাশ ফেলে গেছে, তখন পুলিশ তাদের দাফন করেছেন।
সরকারপ্রধান বলেন, বিএনপি ধংসাত্মক কাজ করে। তাদের অগ্নি সন্ত্রাস, গাছ কাটা, যেভাবে তারা পুলিশের ওপর আক্রমণ করেছে, তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। কত মানুষকে যে হত্যা করেছে হিসাব নাই। তখন পুলিশ জীবনের ঝুঁকি নিয়েও নিরাপত্তা নিয়ে এসেছে।
বক্তব্যকালে পুলিশ বাহিনীর উন্নয়নে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সরকারে আসা পর দেখি পুলিশের বাজেট মাত্র ৪শ কোটি টাকা। আমরা এটাকে ৮শ কোটি টাকা করে দিলাম। ট্রাস্ট ফান্ড করে ৫ কোটি সিড মানি করি। স্টাফ কলেজ করেছি ট্রেনিংয়ের জন্য। পুলিশের ঝুঁকিভাতা আমরা প্রবর্তণ করি।
এ সময় পুলিশের জন্য দুটি হেলিকপ্টার কেনার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পুলিশ সপ্তাহের প্যারেড পরিদর্শন করেন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন। তার পক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সাহস ও বিরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পুলিশ সার্ভিসের কৃতি সদস্যদের পুলিশ পদক দেন।
রাজারবাগে ঢাকা মহানগর পুলিশ লাইনসে এ অনুষ্ঠানে পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।