নিজস্ব প্রতিবেদক
চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ ৩০ দশমিক ৭৫ কোটি ডলার আয় করেছে। রফতানির ক্ষেত্রে পাটখাতের অবস্থান দ্বিতীয়।
সোমবার (৫ অক্টোবর) প্রকাশিত রফতানির উন্নয়ন ব্যুরোর মাসিক প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, পাট ও পাটজাতপণ্যের এই রফতানি আয় গতবছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৯ দশমিক ২৬ শতাংশ বেশি। আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১১ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেশি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পাটখাত উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে এ খাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বর্তমানে রফতানি বাণিজ্যে চামড়াকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে পাটখাত।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, চলতি পাট মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, পাটচাষ নিশ্চিতে বীজ সরবরাহ সঠিক রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সরকার মানসম্মত পাটের উৎপাদন বৃদ্ধি ও পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে পাট অধিদফতরের আওতায় ‘উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের মার্চ মেয়াদে বাস্তবায়ন করছে।
প্রকল্পটি দেশের ৪৬টি জেলার ২৩০টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পাটচাষের উন্নত কলাকৌশল সম্পর্কে চাষীরা প্রশিক্ষিত হচ্ছে। এছাড়া গুণগত ও মানসম্মত পাট এবং পাটবীজ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের ৩৯০ টন পাটবীজ বিনামূল্যে বিতরণসহ সব ধরনের সহায়তা অব্যহত রেখেছে সরকার।
এম এ হালিম