দুর্ঘটনার শিকার ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ-এর সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলগুলোতে ধ্বংসাবশেষের ড্রোন ফুটেজ শেয়ার করা হয়েছে, এতে প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী ওই হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ দেখা যাচ্ছে।
রেড ক্রিসেন্টের তোলা ওই ফুটেজে, পাহাড়ের উপর ঝলসে যাওয়া মাটির বড় অংশের পাশে হেলিকপ্টারটির লেজ দেখা যাচ্ছে।
উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে প্রাণের কোনও চিহ্ন নেই।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এমনটিই দাবি করা হয়েছে।
এর আগে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্সে প্রতিবেদনে বলা হয, সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি। ফলে ওই হেলিকপ্টারের সকল আরোহীর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সোমবার অনুসন্ধান দল ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়ার পর ইরানি এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের ওই প্রতিবেদনে এমনটিই দাবি করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, “এক কর্মকর্তা বলেছেন- দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট রাইসির হেলিকপ্টারটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে… দুর্ভাগ্যবশত, সব যাত্রী নিহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।”
ইরানের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রধান পীর হোসেইন কলিভান্ড দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, আমরা ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাচ্ছি, যা মোটেও ইতিবাচক নয়।
সোমবার ভোররাতে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে ধ্বংসাবশেষ শনাক্তের পর ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর জন্য উদ্ধারকারী দলগুলো রাতভর তুষারঝড় এবং কঠিন ভূখণ্ডের সাথে লড়াই করে।
জানা গেছে, রবিবার আজারবাইজান সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে যান ইরানি প্রেসিডেন্ট। সেখানে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও ছিলেন। সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন ইব্রাহিম রাইসি ও তার সঙ্গে থাকা অন্য কর্মকর্তারা। পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স