রাজধানীর কদমতলীর মুরাদপুরের একটি বাসা থেকে বাবা-মা ও বোনসহ একই পরিবারের তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
একই সাথে ওই বাসা থেকে শফিকুল ইসলাম অরণ্য ও তার মেয়ে মারজান তাবাসসুম তৃপ্তি নামে ৪ বছরের এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। তারা বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ ঘটনায় মেহজাবিন মুন নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক হওয়া মেহজাবিন নিহত দম্পতির সন্তান বলে জানা গেছে।
আজ সংবাদমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জামাল উদ্দিন।
তিনি বলেন, সকালে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতরা একই পরিবারের সদস্য। নিহতরা হলেন- মাসুদ রানা (৫০), তার স্ত্রী মৌসুমী ইসলাম (৪০) ও মেয়ে জান্নাতুল (২০)।
চিকিৎসাধীন শফিকুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমগুলোকে জানান, তার মেয়ে ও স্ত্রী মেহজাবিনকে নিয়ে কদমতলী বাগানবাড়ি এলাকায় থাকতেন। স্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘদিন তার মনোমালিন্য চলছিল। শুক্রবার রাতে তার স্ত্রী মুরাদপুরে বাবা মার বাসায় যেতে চায়। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে মুন একাই চলে যাবে বললে পরে শফিকুল তাকে ওই বাসায় নিয়ে যায়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে সেখানে যাওয়ার পর স্ত্রী মুন তাকে চা খেতে দেয়। খেতে না চাইলেও জোর করে খাওয়ায়। এরপরই তিনি অচেতন হয়ে পড়েন।
তার ধারণা, স্ত্রী মুন তার বাবা মাসুদ রানা, মা জোসনা বেগম ও ছোট বোন জান্নাতকে বিষ খাইয়েছে। বাবা মার সাথে তার স্ত্রীর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল বলে জানান তিনি।