সারা দেশে গণপরিবহন চালু করতে দেওয়াসহ তিন দাবিতে রাজধানীর বিভিন্ন বাস টার্মিনালে বিক্ষোভ মিছিল করছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
আজ রবিবার (২ মে) সকাল ১০টার পর থেকেই রাজধানীর সায়েদাবাদ, ফুলবাড়িয়া, গাবতলী, মহাখালী বাস টার্মিনালে জড়ো হতে থাকেন পরিবহন শ্রমিকরা। দাবি সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন হাতে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল অংশ নেন তাঁরা।
যে তিন দাবিতে পরিবহন শ্রমিকরা এ কর্মসূচি পালন করছেন সেগুলো হলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে নৌপরিবহন ও পণ্য পরিবহন চলাচলের ব্যবস্থা করা, সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের আর্থিক অনুদান ও খাদ্য সহায়তা দেওয়া এবং সারা দেশে বাস ও ট্রাক টার্মিনালগুলোতে পরিবহন শ্রমিকদের জন্য ১০ টাকায় ওএমএসের চাল বিক্রির ব্যবস্থা করা।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত সারাদেশের ২৪৯টি পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন৷ আগামী মঙ্গলবার (৪ মে) সারাদেশে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করার কথা রয়েছে পরিবহন শ্রমিকদের।
গত শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সংবাদ সম্মেলন থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়।
এসময় সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী বলেন, ‘দেশের সড়কপথের পরিবহনগুলোতে প্রতিদিন ৫০ লাখ শ্রমিক কাজ করেন।’
তিনি বলেন, ‘করোনায় মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে। আমরা লকডাউনের বিরোধিতা করছি না।’ সপিংমলসহ সবকিছু সচল করা হলেও গণপরিবহন বন্ধ রাখা হচ্ছে কেন- সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।
গণপরিবহন চালুর পাশাপাশি শ্রমিকদের আর্থিক অনুদান ও খাদ্যসহায়তা প্রদান এবং শ্রমিকদের জন্য ১০ টাকায় চাল বিক্রির ব্যবস্থা করার দাবি জানান। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ তারা আন্দোলনে নেমেছেন বলেও জানান তিনি।