রাজধানীতে র্যাবের অভিযান: ৩০ হাজার সিমসহ ভিওআইপি সরঞ্জাম জব্দ
- আপডেট : সোমবার, ১০ জুন, ২০২৪
এম রাসেল সরকার: রাজধানী নয়াপল্টন এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন কোম্পানির ৩০ হাজার সিম কার্ডসহ বিপুল সংখ্যক বিটিআরসির অনুমোদনবিহীন অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জাম জব্দ করেছে র্যাব। একইসঙ্গে এসব অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামাদি স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বহিঃবিশ্বের সঙ্গে টেলিযোগাযোগের ব্যবসা করা মো. আব্দুর রহিম রাজকে (৩৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পল্টনের আবাসিক ওই বাড়িতে সোমবার সকাল ৯টা থেকে তিন ঘণ্টার অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-৩। অভিযানে ৫১২ পোর্ট এর তিনটি সীমবক্স, ২৫৬ পোর্ট এর পাঁচটি সীমবক্স, ১২৮ পোর্টের পাঁচটি সীমবক্স, ১৬ পোর্ট এর ৩টি সীমবক্স, ৫টি ওয়ারলেস রাউটার, ৬টি স্যুইচ, ২৫টি জিএসএম এন্টিনার, ৩টি মিনি পিসি, ৩ টি মিডিয়া কনভাটার, ১টি এসএসডি হার্ড ডিস্ক, ১টি ল্যাপটপ, ১টি সিপিও, ২টি পাওয়ার ক্যাবল, ২টি ইউএসবি ক্যাবল, ২টি চার্জার, ২টি মোবাইল ফোন, প্রায় ৩০ হাজার বিভিন্ন কোম্পানীর সীমকার্ড, ১টি মাইক্রোটিক রাউটার এবং ৫ টি পেনড্রাইভ উদ্ধারসহ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। আসামি উদ্ধারকৃত ও জব্দকৃত সরঞ্জামাদির বৈধ কোন কাগজপত্র উপস্থাপন করতে পারেননি।
অভিযান শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. ফিরোজ কবীর।
ফিরোজ কবীর বলেন, সম্প্রতি বিভিন্ন চক্র অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৩ এর একটি আভিযানিক দল জানতে পারে যে, কতিপয় অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ী ঢাকা মহানগরীর নয়াপল্টন এলাকায় একটি বাড়িতে বিটিআরসির অনুমোদনবিহীন অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামাদি স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ হতে বর্হিবিশ্বের সাথে টেলিযোগাযোগের ব্যবসা করে আসছে।
এরই প্রেক্ষিতে সোমবার সকাল ১০ টার সময় ওই বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে বিটিআরসির অনুমোদনবিহীন অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামাদিসহ মো. আব্দুর রহিম রাজকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃত রহিমের দেওয়া তথ্য মতে নয়াপল্টন আবাসিক ভবন হতে ৫১২ পোর্ট এর ৩টি সীমবক্স, ২৫৬ পোর্ট এর ৫টি সীমবক্স, ১২৮ পোর্ট এর ৫টি সীমবক্স, ১৬ পোর্ট এর ৩টি সীমবক্স, ৫টি ওয়ারলেস রাউটার, ৬টি স্যুইচ, ২৫টি জিএসএম এন্টিনার, ৩টি মিনি পিসি, ৩ টি মিডিয়া কনভাটার, ১টি এসএসডি হার্ড ডিস্ক, ১টি ল্যাপটপ, ১টি সিপিও, ২টি পাওয়ার ক্যাবল, ২টি ইউএসবি ক্যাবল, ২টি চার্জার, ২টি মোবাইল ফোন, প্রায় ৩০ হাজার বিভিন্ন কোম্পানীর সীমকার্ড, ১টি মাইক্রোটিক রাউটার এবং ৫ টি পেনড্রাইভ উদ্ধারসহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আসামি উদ্ধারকৃত ও জব্দকৃত সরঞ্জামাদির বৈধ কোন কাগজপত্র উপস্থাপন করতে পারেননি।
আসামির জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে র্যাব জানায়, রহিম তিন বছর যাবৎ অবৈধভাবে ভিওআইপি সরঞ্জামাদি দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করে বর্হিবিশ্বের সাথে টেলিযোগাযোগ ব্যবসার করছে। এতে করে সরকারকে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সর্বপরি অবৈধ উপার্জিত অর্থ বেআইনিভাবে সংরক্ষণ করার কারণে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০১ (সংশোধনী ২০১০) এর ৩৫(২)/৫৫(৭)/৭৩ ধারায় অপরাধ করে আসছে।
ফিরোজ কবীর জানান, ধৃত আসামির সাথে অবৈধভাবে ভিওআইপি ব্যবসার সাথে জরিত অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যহত রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ধৃত আসামির বিরুদ্ধে জব্দকৃত ভিওআইপি সরঞ্জামাদিসহ আইনানুগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে থানায় জমা দেওয়া হয়েছে।
