1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৭ অপরাহ্ন

রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বর্জ্য অপসারণ

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৯ জুন, ২০২৩

ঈদের দিনেই রাজধানীর সমস্ত কোরবানির বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র। দ্রুত ও নির্ধারিত সময়ে এ বর্জ্য অপসারণের জন্য দুই সিটি করপোরেশন প্রায় ২০ হাজার কর্মী প্রস্তুত রেখেছে বলেও জানিয়েছেন তারা।
এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) দুপুর ২টা থেকে শুরু করে ২৪ ঘণ্টা ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ৮ ঘণ্টায় এ বর্জ্য অপসারণ করবে।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ শেষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
মেয়র তাপস বলেন, এই জাতীয় ঈদগাহ সুষ্ঠুভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। সেজন্য ভোর হতে তুমুল বৃষ্টি, মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার পরেও (ঈদের নামাজ আদায়ে) কোনো রকম অসুবিধা হয়নি। সব মুসল্লি অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে জামাতে নামাজ আদায় করতে পেরেছেন। সেভাবেই আমরা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি এবং আল্লাহর রহমতে আজ ঈদের জামাত সম্পন্ন হয়েছে।
ভবিষ্যতেও প্রতিকূল আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে ঈদের জামাতের প্রস্তুতি রাখা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এই প্রতিকূল আবহাওয়ায় আমরা সুন্দর পরিবেশ দিতে সক্ষম হয়েছি। বৃষ্টির কারণে অনেকে সমবেত হতে পারেননি। তারপরও যারা এসেছেন তাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা, অভিনন্দন। ভবিষ্যতেও আমরা এভাবেই প্রস্তুতি রাখবো, যাতে মুষলধারে বৃষ্টি হলেও এই ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করতে কোনো অসুবিধা না হয়।
গতবারের তুলনায় এবার বর্জ্য অপসারণে আরও বেশি সফল হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র বলেন, কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে এরই মধ্যে নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম আরম্ভ হয়েছে। আমরা আশাবাদী গতবারের ন্যায় এবারও ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সব বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হবো। গতবারও যেভাবে সফল হয়েছি, ইনশাআল্লাহ এবারও নির্ধারিত সমেয়ের মধ্যেই এই বর্জ্য অপসারণ করতে পারবো।
মেয়র তাপস এসময় দুই দিনের মধ্যেই যেন পশু জবাইয়ের কাজ শেষ করা হয় এবং কোনোভাবেই যেন তৃতীয় দিন পর্যন্ত এটা না নেওয়া হয় সে বিষয়ে সবাইকে অনুরোধ জানান।
ডিএসসিসির কার্যক্রম
ডিএসসিসি জানিয়েছে, বর্জ্য অপসারণের কাজে বর্জ্যবাহী ট্রাক, পে-লোডার, ব্যাকহো-লোডার, পানিবাহী গাড়িসহ ৩৫৭টি বিভিন্ন ধরনের যানবাহন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় রাজউক এবং সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, বিজিবি, সওজ থেকে ২৪টি ভারী যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে। সংস্থাটির ৫ হাজার ৩০০ কর্মীসহ ৮ হাজার ৯৩০ জন কর্মী হাট ও কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া হাট ও সড়ক জীবাণুমুক্ত করতে ৩২ হাজার ৫০০ টন ব্লিচিং পাউডার বিভিন্ন ওয়ার্ডে সরবরাহ করা হয়েছে। কোরবানির বর্জ্য রাখার জন্য বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার ব্যাগ।
ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, দক্ষিণ সিটি এলাকায় এবার আনুমানিক ২২ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হবে, যা গত বছরের চাইতে অন্তত দুই হাজার টন বেশি। তবে আমরা আশা করছি, গত বছরের মতোই নির্ধারিত সময়ের আগে কাজ শেষ করতে পারবো।
ডিএনসিসির কার্যক্রম
ডিএনসিসি জানিয়েছে, কোরবানির বর্জ্য অপসারণের জন্য বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের আওতায় সর্বমোট ১০ হাজার ৩১৪ জন কর্মী কোরবানির বর্জ্য অপসারণে নিয়োগ করা হয়েছে। জবাইকৃত কোরবানির পশুর বর্জ্য তাৎক্ষণিকভাবে অপসারণের জন্য এবং বর্জ্যবাহী ডাম্প বা খোলা ট্রাক, ভারী যান-যন্ত্রপাতি, পানির গাড়ি, বেসরকারি ও ভাড়ায় পিকআপভ্যানসহ সর্বমোট ৬১৫টি গাড়ি নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া বর্জ্য পরিবেশ সম্মত ডিসপোজাল নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ৬টি এক্সকেভেটর, ৪টি চেইন ডোজার, ২টি ট্যায়ার ডোজার ও ১টি পে-লোডার নিয়োজিত রাখা হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে ভ্যানগাড়িতে করে ব্লিচিং পাউডার ছিটানোর ব্যবস্থা করা হবে।
ডিএনসিসির অতিরিক্ত প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আরিফুর রহমান বলেন, আমরা বর্জ্য অপসারণে জনসচেতনতা বাড়াতে প্রতিটি ওয়ার্ডে মাইকিং, প্রতিটি মসজিদের ইমাম সাহেবদের মাধ্যমে নামাজের পরে ও জুমার খুতবার সময় কোরবানি পশু জবাই ও বর্জ্য অপসারণ বিষয়ে মুসুল্লিদের উদ্বুদ্ধ করেছি। বর্জ্য অপসারণ কাজে ব্যবহার হবে বিভিন্ন ধরনের ৪১১টি যানবাহন। গত বছর কোরবানির ঈদের তিনদিনে ৫০ হাজার টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। এ বছরও বর্জ্যের পরিমাণ এমন হবে, যা আট ঘণ্টায় অপসারণ করা যাবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি