রেলমন্ত্রী ও রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুল হাকিম বলেছেন, রাজবাড়ী জেলায় রেলওয়ের সব থেকে বড় মেরামত কারখানা তৈরি করা হবে। এই মেরামত কারখানা তৈরির মাধ্যমে রাজবাড়ী জেলা পুনরায় রেলের শহর হিসেবে পরিচিতি পাবে।
আজ শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় বন্ধ হয়ে যাওয়া সব রেল পুনরায় চালু হচ্ছে। প্রত্যেকটি জেলা রেল নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। রেল তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে।
রাজবাড়ীতে রেলের বেদখল হওয়া জমি উদ্ধারের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, আমি আজকে রেলেওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছিলাম। তারা বলেছে শুধু রেলের জমি না রেলের কোয়ার্টরগুলো বেদখল হয়ে আছে। এই বেদখল হওয়া জমি ও কোয়ার্টারগুলো উদ্ধারের জন্য জোরালোভাবে তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আগুন-সন্ত্রাসের বিষয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, যারা আগুন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে তারা তো তথাকথিত রাজনৈতিক সন্ত্রাসী। এরা আগুন সন্ত্রাসী চালিয়ে জনগণের জীবনহানি ঘটাচ্ছে। মানুষকে পুড়িয়ে তো ক্ষমতায় যাওয়া যায় না। এরা আগুন সন্ত্রাসী চালিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে মেরে রাজনীতিকে কুলষিত করছে। সেই সঙ্গে জাতীয় সম্পদ নষ্ট করছে। জনগণ এটা কোনোভাবেই সমর্থন করবে না এবং এ ধরনের কার্যক্রম চালাতে থাকলে তারা কোনোদিন রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে পারবে না।
রেলমন্ত্রী বলেন, ভাঙ্গা-যশোর রেলপথ চালু হলে রাজবাড়ী রুটের দুইটি ট্রেন কমে যাবে। সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন তখন ওই রুট দিয়ে যাবে। আমি তার আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে রাজবাড়ীর রুটে নতুন ট্রেন দেওয়ার ব্যবস্থা করব। তবে রেলওয়ের ডিভিশন অফিস রাজবাড়ীতে হবে কিনা এটা আমি এখনই বলতে পারব না। তবে আমি চেষ্টা করব রাজবাড়ীতে ডিভিশন অফিস করার জন্য।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান, জেলা পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ, রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র আলমগীর শেখ তিতু, গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম মন্ডলসহ জেলার সব দপ্তরের প্রধানরা।