গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এক দিনে হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড এটি। এর আগে গত ৪ ও ২৩ জুন এই ইউনিটে ১৬ জন করে প্রাণ হারান।
বুধবার (২৩ জুন) সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ের মধ্যে তারা মারা যান।
বৃহস্পতিবার সকালে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মৃত ১৮ জনের মধ্যে ৮ জন করোনা পজিটিভ ছিলেন। আর ১০ জন ভর্তি ছিলেন করোনার উপসর্গ নিয়ে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ১৩ জনই রাজশাহী জেলার।
১ জন চাঁপাইনবাবগঞ্জের, ৪ জন নওগাঁর। এ নিয়ে চলতি মাসের ২৪ দিনে (১ জুন সকাল ৮টা থেকে ২৪ জুন সকাল ৮টা পর্যন্ত) এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেলেন ২৬৩ জন।
রামেক হাসপাতাল পরিচালক শামীম ইয়াজদানী আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৪ জন। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এ হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৪০৪ জন। রামেক হাসপাতালে করোনা ডেডিকেটেড শয্যার সংখ্যা ৩৫৭টি।
এদিকে করোনা ভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ঠেকাতে উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা রাজশাহীতে ‘বিশেষ লকডাউনের’ মেয়াদ তৃতীয় দফার মত আরও এক সপ্তাহের জন্য বাড়ানো হয়েছে। বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল জলিল এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। অর্থাৎ রাজশাহীতে ১১ জুন থেকে চলমান কঠোর লকডাউন এবার ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত গড়ালো।
এর আগে গত ১৬ জুন রাতে রাজশাহী সার্কিট হাউসে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় দ্বিতীয় দফায় আরও এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দেওয়া হয়। দ্বিতীয় দফার লকডাউন শেষ হবে ২৪ জুন মধ্য রাতে। এর পর থেকে তৃতীয় দফায় আরও এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন চলবে ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত। তবে এবারের লকডাউনে রাজশাহী শহরের সঙ্গে কোনো উপজেলার যোগাযোগ থাকবে না বলে জানানো হয়েছে। কেউ উপজেলা থেকে শহরে প্রবেশ করতে পারবে না। আবার শহর থেকে কেউ উপজেলা পর্যায়ে প্রবেশ করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।