ইভিএম-এ ভোট গ্রহণে ধীর গতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন। তবে ভোটারদের উপস্থিতি এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন মহানগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের মালদা কলোনি এলাকায় থাকা আটকশি হাই স্কুল কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার জন্য বুধবার (২১ জুন) সকাল ১০টা বাজার ১০ মিনিট আগেই চলে আসেন। এ সময় ইভিএম-এ ভোট গ্রহণে ধীর গতির কারণে ভোটারদের লম্বা লাইন দেখতে পান এবং এজন্য অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এরপর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে তিনি সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে ভোটদান করেন।
এর পরপরই সেখানে হাজির হন আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত মেয়ের প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি এ সময় জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপনকে বুকে জড়িয়ে ধরে কোলাকুলি করেন। এরপর দুই মেয়র প্রার্থী কুশল বিনিময় করেন।
এরপর জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন ভোটারদের উপস্থিতি এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবেন বলে জানান এবং ফলাফল যা-ই হোক মেনে নেবেন বলে সবার সামনে ঘোষণা দেন।
এরপর আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শেষ পর্যন্ত ভোটের এমন সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকবে এবং অন্যান্যা সিটির চেয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট শান্তিপূর্ণ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এখনও অনেক কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম প্রশ্নে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার সংখ্যা বাড়বে। রাজশাহী সিটিতে শেষ পর্যন্ত অন্তত ৬০ শতাংশ ভোট কাস্টিং হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন।
এদিকে, বুধবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। অনেক কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন আবার অনেক কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আর সকাল আটটা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও ইভিএম জটিলতার কারণে ১০ থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত বিলম্বে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ইভিএম স্টার্ট করতেই সময় লেগেছে।
তবে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং অফিসার দেলোয়ার হোসেন জানান, এটি স্বাভাবিক। ইভিএম মেশিন চালু করতে সময় লাগে। এটি সারা দেশেই হয়েছে। এই নিয়ে বড় ধরনের কোন সমস্যা হয়নি। সবাই ঠিকমতোই ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছেন।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার দেলোয়ার হোসেন আরও জানান, রাজশাহী সিটিতে এবার মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন।
মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার সংখ্যা ৬ জন। এর মধ্যে নতুন ভোটার ৩১ হাজার ২২৩ জন। তারা প্রথমবারের মতো তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন এবার।