গোলাম রাব্বানী: দ্বিতীয় ধাপে খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল । দলীয় প্রতীক না থাকায় প্রার্থী ও ভোটারদের মাঝে উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। শেষ মুহূর্তে নির্বাচনকে ঘিরে সাধারণ মানুষের মাঝে বিপুল আগ্রহ, উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। চায়ের আড্ডা ও হাটে মাঠে নির্বাচন নিয়ে চলছে বিশ্লেষণ। তবে প্রার্থী ও ভোটারদের মাঝে নেই কোন অভিযোগ, শঙ্কা ও ভীতি।সুষ্ঠূু-নিরপেক্ষও উৎসবমুখর পরিবেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শেষ হবে এমনটাই প্রত্যাশা সবার।
ভোটাররা ধারনা করছেন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দ্বিমুখী লড়াই হবে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে ২ প্রার্থীর মধ্যে। তবে খুব অল্প ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান পদে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হবে।
সহকারী রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তেরখাদা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ১০ জনপ্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২ জন, মহিলাভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন।
জানায়, ৬টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত তেরখাদা উপজেলার মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৩ হাজার ৭৬৮ জন। এরমধ্যে নারী ভোটার ৫১ হাজার ১৭৩ এবংপুরুষ ভোটার ৫২ হাজার ৫১৫ জন। উপজেলার ৪৩টি কেন্দ্রে ২৭৬টি বুথে ভোট প্রদান করবেন ভোটাররা আগামী ২১ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
চেয়ারম্যান পদে দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ শরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু,ও আনারস প্রতীকে নিয়ে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি আবুল হাসান মুসল্লী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। দুই জনই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।
এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শামীমা আক্তার বিথী, পাখিরানী বিশ্বাস, মলিনা ডাক্তার, আঞ্জুয়ারা সুমি,
এবং পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে আরাফাত হোসেন মুক্তি, শেখ মোঃ তবিবুর রহমান, এস এম ওবায়দুল্লাহ বাবু, শেখ মোঃ আনিসুল হক, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আনারস প্রতীকের প্রার্থী আবুল হাসান মুসল্লি বলেন, ‘আমি উপজেলার প্রতিটি এলাকার সাধারণ জনগণের বিপুলসাড়া পাচ্ছি।
আমার নির্বাচনী প্রস্তুতি অনেক ভালো। ৬টি ইউনিয়নের প্রতিটি এলাকায় সাধারণ মানুষের সাথে কুশল ও মতবিনিময় করেছি। তাদের পাশে আছি এবং খোঁজ-খবর নিচ্ছি। আমি খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের সাথে মিশে থাকতে চাই। আমি ইনশাল্লাহ নির্বাচনে জয়ী হবো। এখানে শন্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচন নিয়ে আমাদের আপাতত কোন অভিযোগ নেই।
উপজেলার ৬টি ইউনিয়নেই আলাদা আলাদা প্রভাব রয়েছে প্রার্থীদের। আঞ্চলিকতার প্রভাবে তিনজনের মধ্যেই ভোট ভাগাভাগি হবে। এছাড়া রাজনৈতিক সাংগঠনিক গুরুত্ব ও আত্মীয়করণের মাধ্যমে ভোট ভাগাভাগি নিয়েও রয়েছে সমীকরণ। ভোটের প্রচারে এগিয়ে থাকলেও ভোটের পরে পাল্টে যেতে পারে ভোটের অঙ্ক। তাই ভোটাররা বলছেন, কোনো প্রার্থীর একতরফা ভোট পাওয়ার তেমন কোন সুযোগ নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা মারুফা বেগম নেলি জানান, সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এখানে উৎসব মুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।