ইনজুরির কারণে স্কোয়াডেই ছিলেন লিওনেল মেসি। নেইমারকেও সেরা একাদশে রাখেননি কোচ ক্রিস্টোফার গ্যালতিয়ের। উল্টো ৪১তম মিনিটে সরাসরি লাল কার্ড দেখলেন সার্জিও রামোস। এ পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোলই করতে পারেনি পিএসজি। পুঁচকে রেইমসের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে ফরাসী চ্যাম্পিয়নদের।
গোল পাওয়ার জন্য ৫৭তম মিনিটে নেইমারকে মাঠে নামিয়েছিলেন গ্যালতিয়ের। কিন্তু প্রায় এক ঘণ্টা ১০ জনের দল নিয়ে খেলে গোল আদায় করতে পারেননি নেইমার-এমবাপেরা। যার ফলে ১০ ম্যাচ শেষে পিএসজির পয়েন্ট দাঁড়ালো ২৬। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মার্শেই ও একই দিন হেরে যায় এসি আজাচ্চিওর কাছে। ফলে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাদেরকে। ৮ পয়েন্ট নিয়ে ১৪তম স্থানে রয়েছে রেইমস।
২টি পয়েন্ট হারালেও অপরাজিত থাকার রেকর্ড বাড়িয়ে নিলো পিএসজি। চলতি মৌসুমে এখনও পর্যন্ত কোনো ম্যাচে হারেনি মেসি-নেইমারদের দল। মেজাজ গরম করার কারণেই মূলতঃ লালকার্ড দেখতে হয়েছে রামোসকে। ক্যারিয়ারে এ নিয়ে ২৮তম লাল কার্ড দেখলেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ অধিনায়ক।
ম্যাচ শেষে পিএসজি কোচ গ্যালতিয়ের বলেন, ‘আমাকে খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলতে হবে। মৌসুমে এখনও অনেক ম্যাচ বাকি। আমাদের অনেকদুর যেতে হবে। সুতরাং, পুরো স্কোয়াডকেই আমার সব সময় প্রয়োজন।’
‘এই ম্যাচটা জিততে পারিনি, কারণ বেকুবের মত একটি বহিস্কার করা হয়েছে (লাল কার্ড)। আমাদেরকে অবশ্যই এ বিষয়টা নিয়ে ভাবতে হবে এবং ঠিক করতে হবে।’
স্বাগতিক রেইমস শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলা শুরু করে। তবে, পিএসজিই সেরা সুযোগটা তৈরি করেছিল প্রথমে। কিলিয়ান এমবাপে নিশ্চিত একটি গোল বঞ্চিত হন। ৩৩তম মিনিটে খুব কাছ থেকে গোলপোস্ট লক্ষ্যে শট নেন এমবাপে। কিন্তু রেইমসের গোলরক্ষক ইয়োভান দিয়ুপ অসাধারণ দক্ষতায় সেটি ফিরিয়ে দেন।
৪১তম মিনিটে একটি হলুদ কার্ড দেখেন সার্জিও রামোস। এ নিয়ে তিনি রেফারি পিয়েরে গেইলস্তসের সঙ্গে কিছুটা তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ কারণেই পরক্ষণে রামোসকে সরাসরি লালকার্ড দেখিয়ে বসেন রেফারি।
গোল পাওয়ার জন্য ৫৭তম মিনিটে কার্লোস সোলারের পরিবর্তে নেইমারকে মাঠে নামান কোচ গ্যালতিয়ের। কিন্তু সফরকারীদের কোনো প্রচেষ্টাই আলোর মুখ দেখতে দেয়নি রেইমসের ডিফেন্স এবং শেষ পর্যন্ত একটি ভুলতে চাওয়া রাত উপহার দিয়ে মাঠ ছাড়ে পিএসজি।