1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪২ পূর্বাহ্ন

রাশিয়ার দুটি উভচর জাহাজ ডুবিয়ে দিয়েছে ইউক্রেন

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৩

ইউক্রেনের নৌ-ড্রোনগুলো ক্রাইমিয়ায় রাশিয়ার দুটি ছোট উভচর জাহাজ ডুবিয়ে দিয়েছে বলে ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করেছে।
তারা জানায়, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে দেশটির সেনারা রাশিয়ার আরও হামলা মোকাবেলার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময়ে ক্রাইমিয়ার ঘটনাটি ঘটেছে। রাশিয়ার হামলার ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়া পূর্বাঞ্চলীয় শহর আভদিইভকায় আবারও হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শুক্রবার ক্রাইমিয়ার পশ্চিমে ভুজকা বে-তে হামলাটি হয় বলে জানা গেছে। ইউক্রেনের সামরিক বিশ্লেষকরা বলেছেন, উল্লেখযোগ্য এই হামলায় রাশিয়ার বেশ ক্ষতি হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তারা স্বতন্ত্রভাবে এসব দাবি যাচাই করে দেখতে পারেনি। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে রাশিয়ার পক্ষ থেকেও কোনো মন্তব্য আসেনি।
কথিত এক গণভোটের ফলের ভিত্তিতে ইউক্রেনীয় উপদ্বীপ ক্রাইমিয়াকে ২০১৪ সালে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করে নেয় রাশিয়া। দেশটির কৃষ্ণ সাগরীয় নৌবহরের সদরদপ্তর ক্রাইমিয়ার বন্দর শহর সেভাস্তপোলে।
ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রাথমিক একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাতে রাশিয়ার দুটি ছোট উভচর জাহাজে আঘাত হানা হয়।
পরবর্তী হালনাগাদ তথ্যে জানানো হয়, নৌ-ড্রোন দিয়ে হামলাটি চালানো হয়েছে। ডুবে যাওয়া উভচর জাহাজ দুটির মধ্যে একটি হল আকুলা শ্রেণির এবং অপরটি সেরনা শ্রেণির অবতরণ জলযান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘১০ নভেম্বর, ২০২৩ ক্রাইমিয়ার ভুজকা বে-র কাছে গোয়েন্দা বাহিনীর পরিচালিত নৌ-ড্রোন হামলায় এই ফল আসে, রাশিয়ার দুটি ছোট অবতরণ জাহাজ ধ্বংস হয়ে যায়। হামলার পরিণতিতে উভয় জলযানই ডুবে যায়, আকুলা সরাসরি ডুবে যায় আর সেরনাকে রক্ষা করার উদ্যোগ নেওয়ার পর (সেটি ডুবে যায়)।’
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, রাশিয়ার উভচর জাহাজ দুটিতে বেশ কয়েকটি সাঁজোয়া যান উঠানো হয়েছিল এবং সেগুলোতে ক্রুরা ছিলেন।
ইউক্রনের সামরিক বিশ্লেষক ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আন্দ্রি রেইজেনকো রেডিও এনভিকে বলেছেন, ‘এ ধরনের জলযান হারানো উল্লেখযোগ্য ক্ষতি। এসব জাহাজ দিয়ে অনেকটা অলক্ষ্যে কৌশলগত স্থল বাহিনী ও সরঞ্জাম পরিবহন করা যায়।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, নৌবাহিনীর লক্ষ্যস্থলগুলোর ওপর আক্রমণের কারণে ওই এলাকায় মস্কোর সামরিক শক্তি হ্রাস পেয়েছে। এ হামলার পর রাশিয়ার কিছু জাহাজ সেভাস্তপোল থেকে চলে গেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি