যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপমূলক নীতি গ্রহণ করে ইউক্রেনের ভূমিতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে একটি প্রক্সি যুদ্ধ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে রাশিয়া। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিআইএসভুক্ত দেশগুলো বিষয়ক মহাপরিচালক অ্যালেক্সি পোলিশুক এ মন্তব্য করেছেন।
তিনি রোববার রুশ বার্তা সংস্থা তাসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ যুক্তরাষ্ট্র একদিকে শত শত কোটি ডলার মূল্যের অস্ত্র দিচ্ছে অন্যদিকে ইউক্রেনে হাজার হাজার ভাড়াটে সেনা পাঠিয়েছে। এর মাধ্যমে মার্কিন সরকার ইউক্রেন যুদ্ধে সামরিক হস্তক্ষেপ করে যাচ্ছে।’
রাশিয়ার এই সিনিয়র কূটনীতিক বলেন, ‘ যুক্তরাষ্ট্র নিজে ইউক্রেনকে সামরিক সহযোগিতা করে ক্ষান্ত হয়নি বরং নিজের ইউরোপীয় মিত্রদেরও একই কাজ করতে বাধ্য করছে। যুক্তরাষ্ট্রের চাপে ইউরোপীয় দেশগুলো ইউক্রেনকে সমরাস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করছে।’
ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান অষ্টম মাসে পড়েছে। গত আট মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনের শত শত কোট ডলারের অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রের জোগান দিয়ে যাচ্ছে।
কিয়েভকে অস্ত্রসস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবারের পাশাপাশি রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরাপ করেছে পশ্চিমা দেশগুলো। ফলে এসব দেশ ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেওয়ার পরিবর্তে উল্টো এ যুদ্ধকে উস্কে দিচ্ছে। রাশিয়া বহুবার বলেছে, ইউক্রেনকে পাশ্চাত্যের সমরাস্ত্র সরবরাহের কারণে এ যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হচ্ছে এবং এর নেতিবাচক প্রভাব হবে সুদূরপ্রসারি।
খবর পার্সটুডে