ইউক্রেনীয়-বেলারুশ সীমান্তে সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে ইউক্রেন, এমনটাই বলা হয়েছে সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে। এতে আরও বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এর আগে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন তার দেশের পারমাণবিক অস্ত্রের বহরকে ‘বিশেষ সতর্কতায়’ রাখতে সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দেন।। এটি রাশিয়ার কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র বহরের জন্য ‘সর্বোচ্চ স্তরের সতর্কতা’।
এদিকে, তাসের এক প্রতিবেদনেও একই দাবি করা হয়েছে। রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) তাসের এক খবরে বলা হয়েছে, সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা।
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশের পরপরই স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে স্থল, আকাশ ও জলপথে ইউক্রেনে হামলা শুরু করেন রাশিয়ার সেনারা। উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব দিক থেকে, এমনকি বেলারুশ থেকেও হামলা চালানো শুরু হয়। ধীরে ধীরে রাজধানী কিয়েভের দিকে অগ্রসর হয় রুশ সেনারা। ইউক্রেনের সেনাদের সঙ্গে শুরু হয় তীব্র লড়াই।
সম্প্রতি পূর্ব ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর নির্দেশের আগে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত দুটি অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। স্থানীয় সময় সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে পুতিন ইউক্রেনকে রাশিয়ার ইতিহাসের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, পূর্ব ইউক্রেন এক সময় রাশিয়ার ভূমি ছিল। পুতিনের এ ঘোষণার পরপরই শুরু হয় ইউক্রেন আগ্রাসন।