ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতিকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নির্দেশ দেন। গণভবন থেকে বৈঠকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
সভায় ইউক্রেনে আটকেপড়া বাংলাদেশিদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার ব্যাপারেও প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা ও ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য পোল্যান্ড ও রোমানিয়ায় রাষ্ট্রদূতদের নির্দেশ দিয়েছেন। তারা সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে মন্ত্রিসভায় কোনো আলোচনা হয়েছে কী না-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘ওটা আলোচনা হয়েছে। আমরা অবজার্ভ (পর্যবেক্ষণ) করছি।’
‘ডেফিনেটলি আমরা যুদ্ধের পক্ষে কোনো কথা বলিনি। এটা আলোচনা হয়েছে এবং ফরেন মিনিস্ট্রি বা সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এটা একটু অবজার্ভ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আরও দু-একদিন।’
তিনি বলেন, ‘পোল্যান্ড এবং রোমানিয়াতে আমাদের যারা অ্যাম্বাসেডর আছেন তারা অলরেডি ওয়াচ করছে, কী হচ্ছে। এখানে বাংলাদেশিদের কী অবস্থা, তারা আপডেট দিচ্ছে।’
বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কী না- জানতে চাইলে বলেন, ‘সব জিনিসই তারা পর্যবেক্ষণ করছে। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে।’
এর আগে গতকাল রোববার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ৪০০ বাংলাদেশি নিরাপদে ইউক্রেন সীমান্ত অতিক্রম করে পোল্যান্ডে পৌঁছেছেন। তাঁদের মধ্যে ৪৬ জন বাংলাদেশি পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশতে বাংলাদেশ দূতাবাসের ব্যবস্থায় অস্থায়ী আশ্রয়ে রয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ওয়ারশতে বাংলাদেশ দূতাবাস ইউক্রেনের কারাগারে আটক ২৮ বাংলাদেশি নাগরিককে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রসের (আইসিআরসি) মাধ্যমে উদ্ধার ও স্থানান্তরের জন্য কাজ করছে। দূতাবাস ইউক্রেনে জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা (আইওএম)-এর মাধ্যমেও আটক বাংলাদেশিদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করছে।