সিলেটের বন্দর বাজার ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনে নিহত যুবক রায়হান আহমদ হত্যা মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বুধবার সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে রায়হান আহমদ হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করেন পিবিআই পরিদর্শক আওলাদ হোসেন। আসামি করা হয়েছে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির বরখাস্তকৃত ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ ছয়জনকে।
অভিযুক্তরা হচ্ছেন, বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, টুআইসি এসআই হাসান আলী, এএসআই আশেকে এলাহী, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস ও আব্দুল্লাহ আল নোমান। এদের মধ্যে নোমান ছাড়া সবাই কারাগারে রয়েছেন।
কোর্ট ইন্সপেক্টর প্রদীপ কুমার দাস বলেন, বহুল আলোচিত রায়হান হত্যা মামলার অভিযোগপত্র পিবিআই পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। করোনার কারণে আদালতের কার্যক্রম ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে চলার কারণে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হচ্ছে না। আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর পরই অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হবে। তবে এর ভেতরে পিবিআই দেওয়া অভিযোগপত্রে কোনও অসঙ্গতি রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। কোনও অসঙ্গতি পেলে তা পিবিআইকে জানানো হবে সংশোধন করার জন্য।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম এ ফজল চৌধুরী জানান, পিবিআই দাখিলকৃত অভিযোগপত্রে আপাতত কোন অসংঙ্গতি চোখে পড়েনি। তবে অভিযোগপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র তুলার পর বিস্তারিত জানা যাবে। এরপর অভিযোগপত্র নিয়ে করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১১ অক্টোবর রাতে রায়হানকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে ধরে নিয়ে আসা হয়। সেখানে মারধরের এক পর্যায়ে রায়হান অসুস্থ হয়ে পড়লে ১২ অক্টোবর ভোরে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রায়হানের শরীরে একাধিক লাঠির আঘাত পাওয়া যায়।