২৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মাদ আব্দুল হাফিজ ও বিচারপতি মুহাম্মাদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বিব্রতবোধ করেন। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা ওমর ফারুক ফারুকীর পক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম তালুকদার রাজা।
এর আগে, বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মুহাম্মাদ আব্দুল হাফিজ ও বিচারপতি মুহাম্মাদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিব্রতবোধ করেন। পরে মামলাটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।
রফিকুল ইসলাম তালুকদার রাজা বলেন, শুনানির সময় এ বেঞ্চের জুনিয়র বিচারপতি মামলাটি শুনতে অপরাগতার কথা জানান। পরে আমরা মামলাটি ফেরত নিয়েছি। অন্য বেঞ্চে শুনানির জন্য দাখিল করব।
২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করা হয়। মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামিরা ফেসবুক লাইভে ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে জিয়া পরিবার এবং ব্যারিস্টার জাইমা রহমান সম্পর্কে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ, নারীবিদ্বেষী এবং যেকোনো নারীর জন্য মর্যাদাহানীকর ভাষা’ ব্যবহার করেছেন।
এতে আরও বলা হয়েছে, ডা. মুরাদ হাসানের প্রদেয় এবং মুহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদের ধারণ করা সাক্ষাৎকারটি পরবর্তী সময়ে মুরাদ হাসান তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রচার ও প্রকাশ করে জিয়া পরিবার তথা জিয়া পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য ব্যারিস্টার জাইমা রহমান এবং সর্বোপরি নারী সমাজের প্রতি অবমাননাকর, অপমানজনক এবং আইনত শাস্তিযোগ্য হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এই মামলাটি দায়ের করা হলো।