কিলিয়ান এমবাপ্পের ক্যারিয়ারে তার মা ফাইজা লামারির ভূমিকা কারও অজানা না। ২০২১ সালে ফরাসি ক্লাব পিএসজি ছাড়ার কথা জানিয়েছিলেন এই ফরোয়ার্ড। এরপর বেশ চাপেই পড়েছিলেন তিনি। তখন পরিস্থিতি শান্ত করতে একটি সাক্ষাৎকার দেন বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলারের মা।
তখন ফাইজা দাবি করেন, পিএসজির সঙ্গে চুক্তি বাড়ানোর ব্যাপারে তারা কাজ করছেন এবং দু’পক্ষের দর–কষাকষিও ভালোভাবে এগোচ্ছে। যদিও অনেক আগে থেকেই এমবাপ্পের রিয়ালে যাওয়ার স্বপ্ন। এমনকি তার মায়েরও তেমনটাই ইচ্ছা ছিল। কিন্তু তখনকার পরিস্থিতির কারণে এমন অবস্থান নিতে হয় তাকে (ফাইজা)।
তখন ফাইজা এ-ও জানিয়েছিলেন, তার বাবা চায় সে (এমবাপ্পে) থাকুক। আর আইনজীবী এবং আমি চাই সে চলে যাক। তবে আমাদের তিনজন সিদ্ধান্ত দেওয়ার কেউ নই। যখন কিলিয়ান (এমবাপ্পে) কিছু চায়, তবে আপনি যা–ই চান; তাতে কোনো লাভ নেই। সে নিজেরটাই করবে, এটাই।
সে যাত্রায় অবশ্য ফরাসি জায়ান্টদের ছেড়ে যাওয়া হয়নি সময়ের এই সেরা তারকার। রিয়ালের স্বপ্ন সেখানেই থমকে গেছে। তবে এবার পিএসজিকে ২০২৪ সালের পর চুক্তি নবায়ন না করার চিঠি পাঠিয়ে একপ্রকার বোমাই ফাটিয়েছেন ফরাসি এই ফরোয়ার্ড।
অন্যদিকে উল্টো হুমকিও দিয়েছে পিএসজি। ক্লাবটির ভাষ্য, চুক্তি নবায়ন না করলে এই মৌসুমেই ক্লাব ছাড়তে হবে তাকে। উত্তপ্ত এই পরিস্থিতিতে আবারও ধারণা করা হচ্ছিল, আলোচনার সমাধান হয়ে এবারও টেবিলে প্রতিনিধিত্ব করতে এগিয়ে আসবেন এমবাপ্পের মা।
এদিকে নতুন খবর হচ্ছে, তার মা ফাইজা-ই এবার চাচ্ছেন, পিএসজি ছেড়ে রিয়ালেই যাক এমবাপ্পে। ছেলেকে নাকি আগে থেকেই রিয়ালে দেখার ইচ্ছে ছিল তার। এবার সব সমীকরণ মিলিয়ে এমবাপ্পেকে রিয়ালেই পাঠাতে চাইছেন তিনি।
এমবাপ্পের মায়ের এমন ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন স্প্যানিশ সাংবাদিক র্যামন আলভারেজ ডি মন।
ফরাসি এই তারকার মায়ের ইচ্ছার বিষয়টি অবশ্য অজানা না, রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, আমি মনে করি, তার মা–ও চায় সে (এমবাপ্পে) রিয়াল মাদ্রিদে আসুক। কারণ, এটা শৈশব থেকেই তার চাওয়া। আমি তার মায়ের সঙ্গে কথা বলিনি। কিন্তু আমি জেনেছি; তার মন খারাপ। তবে যখন পরিস্থিতি বদলে যায় এবং একজন মানুষ কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, তবে সেটাকে আপনার সম্মান করতে হবে। তার বয়স ২৩, তাকে অনেক চাপেও রাখা হয়েছে।