ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে জোরালো বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। শুক্রবার প্রথম প্রহরগুলোতে এসব বিস্ফোরণের পাশাপাশি বিমান হামলার সতর্ক সংকেত বেজে ওঠে। কৃষ্ণ সাগরে অগ্নিকাণ্ডের পর রাশিয়ার একটি যুদ্ধজাহাজ ডুবে যাওয়ার পর ইউক্রেনে হামলা আরও তীব্র হচ্ছে।
এই মাসের শুরুতে ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে যুদ্ধে মনোনিবেশ করতে কিয়েভের আশেপাশের এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করে রাশিয়া। এই সেনা প্রত্যাহারের পর শুক্রবার কিয়েভ এলাকায় ফের হামলা শুরু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রুশ যুদ্ধজাহাজ ডুবিয়ে দেওয়ার দাবি করেছে ইউক্রেন। তাদের দাবি সোভিয়েত আমলের রুশ পতাকাবাহী মস্কোভা জাহাজে আঘাত হানে তাদের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটির ব্ল্যাক সি ফ্লিটের ফ্ল্যাগশিপ ক্ষেপণাস্ত্র ক্রুজার মসকোভা একটি বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ওই ঘটনার পর ঝড়ো আবহাওয়ায় বন্দরে ফিরিয়ে আনার সময় এটি ডুবে যায়।
রুশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাহাজে থাকা গোলাবারুদ বিস্ফোরিত হওয়া শুরু করলে পাঁচ শতাধিক কর্মীকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে আক্রান্ত হওয়ার কথা স্বীকার করেনি রাশিয়া। ইউক্রেন জানিয়েছে, যুদ্ধজাহাজটিতে আঘাত হানা ক্ষেপণাস্ত্রটি স্থানীয়ভাবে তৈরি। জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রটির নাম নেপচুন।
রুশ জাহাজডুবির পর কিয়েভে জোরালো বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেলেও তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি। কিয়েভ, দক্ষিণের খেরসন, পূর্বাঞ্চলীয় খারখিভ এবং পশ্চিমের ইভানো-ফ্রাঙ্কিভস্ক শহরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ইউক্রেনীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, কিয়েভের কিছু অংশ বিদুৎহীন হয়ে পড়েছে।
খবর রয়টার্স