রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) বাস চালক আব্দুস সালাম (৫৫) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চার আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার এই রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী সোহেল রানা, নূরুন্নবী হোসেন হৃদয়, আনোয়ার হোসেন সাইমন ও সাব্বির। এছাড়া এই হত্যামামলার অপর দুই আসামি প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়ায় তাদের মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে চলমান রয়েছে। ওই দুই আসামি হলেন- ফয়সাল আহম্মেদ পিয়াস ও শিমুল ওরফে পশাল।
মামলার বাদী আব্দুস সালামের ছেলে পিয়াস এ রায়ে অষন্তোষ প্রকাশ করে জানান, ‘আমাদের প্রত্যাশা ছিলো আসামীদের সর্বোচ্চ শাস্তির। কিন্তু আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। আমরা এই রায়ে পুরোপুরি সন্তষ্ট নই।’
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যান্ডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু। তিনি বলেন, এই মামলায় ২৫ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। যেহেতু নির্জন এলাকায় হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে সেহেতু আদালত মনে করেছেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার। যাবজ্জীবন ছাড়াও আসামীদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আর এক বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারক।
মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন আবু বক্কর। তিনি বলেন, আসামীদের পক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে। আপিলে আসামিরা খালাস পেয়ে যাবেন বলে আশা এই আইনজীবীর।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৩ এপ্রিল রুয়েটের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের সামনে রাত সাড়ে নয়টার দিকে বাস চালক আব্দুস সালামকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে আশেপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
হত্যাকাণ্ডের পরের দিন আব্দুস সালামের ছেলে পিয়াস বাদী হয়ে নগরের মতিহার থানায় অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলার চারদিন পরে শিমুল ওরফে পলাশকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর মামলার জট খুলতে থাকে।