পাবনার ঈশ্বরদীতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েলের (ইউরেনিয়াম) তৃতীয় চালান পৌঁছেছে।
আজ শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ইউরেনিয়ামবাহী গাড়ি রূপপুর প্রকল্প এলাকায় প্রবেশ করলে কর্মরত বাংলাদেশি ও রাশিয়ান নাগরিকরা স্বাগত জানান।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের সাইট ডিরেক্টর প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে রাশিয়া থেকে তৃতীয় চালানের ইউরেনিয়াম বিশেষ বিমানে ঢাকায় পৌঁছে। শুক্রবার ইউরেনিয়াম সড়কপথে ঢাকা থেকে রূপপুর প্রকল্পে আনা হয়। পর্যায়ক্রমে ইউরেনিয়ামের আরও চারটি চালান দেশে আসবে।
ঈশ্বরদীর পাকশী হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আশিষ কুমার স্যানাল বলেন, সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ইউরেনিয়ামের তৃতীয় চালান সড়কপথে রূপপুরে আনা হয়েছে। সড়কে ইউরেনিয়ামের চালানবাহী গাড়ি বহর আসার সময় কিছুক্ষণের জন্য সড়কে অন্যান্য যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
এর আগে ২৮ সেপ্টেম্বর ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান রাশিয়া থেকে বিমানযোগে ঢাকায় পৌঁছানোর পর ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে সড়ক পথে রূপপুরে আনা হয়। এরপর ৫ অক্টোবর রাশিয়া থেকে ইউরেনিয়াম দ্বিতীয় চালান ঢাকায় পৌঁছার পর ৬ অক্টোবর ঢাকা থেকে থেকে রূপপুরে আনা।
২০২৪ সালের মার্চে প্রথম ইউনিটে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করার কথা দেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে। পরের বছর ২০২৫ সালের মাঝামাঝি দ্বিতীয় ইউনিট চালু হতে পারে। দুটি ইউনিটে মোট দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে খরচ হচ্ছে প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে ২২ হাজার ৫২ কোটি ৯১ লাখ ২৭ হাজার টাকা। রাশিয়া থেকে ঋণ সহায়তা পেয়েছে ৯১ হাজার ৪০ কোটি টাকা।