আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
করোনার চিকিৎসায় আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) বৃহস্পতিবার রেমডেসিভিয়ারকে সম্পূর্ণ ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(হু) জানিয়েছে, অ্যান্টিভাইরাল এ ড্রাগটিকে এক সপ্তাহ আগে তাদের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে সম্পূর্ণ ফেল করেছে। অনলাইনে সেই রিপোর্টও প্রকাশ করেছে হু। খবর রয়টার্স ও এপির।
এর আগে গত মে মাসে শর্তসাপেক্ষে রেমডেসিভিয়ারকে অনুমতি দিয়েছিল আমেরিকার প্রশাসন। অর্থাৎ, একমাত্র গুরুতর অসুস্থকেই ওষুধটি প্রয়োগ করা যাবে।
পরে আমেরিকাসহ একাধিক দেশ রেমডেসিভিয়ারকে স্বীকৃতি দেয়। ভারতেও ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু হু জানিয়েছে, তাদের ট্রায়ালে ৩০টি দেশে ১১ হাজারের বেশি মানুষের উপরে প্রয়োগ করা হয়েছিল ওষুধটি।
এতে দেখা গেছে, এর কার্যকারিতা শূন্য। কোভিড রোগীদের হাসপাতালে থাকার মেয়াদ কমাতে ব্যর্থ রেমডেসিভিয়ার। মৃত্যু রুখতেও ওষুধটি কাজ দিচ্ছে না বলে জানানো হয়েছে হু-র রিপোর্টে।
তবে রেমডেসিভিয়ার প্রস্তুতকারী সংস্থা ‘গিলিয়াড’ দাবি করেছিল, হু-র রিপোর্ট অসম্পূর্ণ। যে তথ্য উঠে এসেছে, তা ঠিক নয়। রেমডেসিভিয়ার যে কাজ দিচ্ছে, নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষায় তা প্রমাণ হয়েছে। বিভিন্ন পত্রিকাতেও প্রকাশিত হয়েছে।
গিলিয়াড শুক্রবার জানিয়েছে, তাদের ওষুধই কোভিড-১৯-এর একমাত্র নির্দিষ্ট চিকিৎসা। এই ঘোষণার পরেই নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে শেয়ারদর বেড়ে গেছে গিলিয়াডের।
এফডিএ কমিশনার স্টিফেন হান বলেন, এ রকম ভয়ানক পরিস্থিতিতে এর কার্যকরী চিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং তা সবার কাছে পৌঁছে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। একাধিক ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের রিপোর্ট খতিয়ে দেখেই এই ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
কানাডা ও ইউরোপের দেশগুলোতেও রেমডেসিভিয়ার প্রয়োগ করা হচ্ছে। হু-এর কার্যকারিতা শূন্য বলে দাবি করলেও এফডিএ জানিয়েছে, একাধিক ট্রায়ালে তারা দেখেছে রেমডেসিভিয়ার বেশ ভাল কাজ দিচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও এই অ্যান্টিভাইরালটি দেয়া হয়েছিল। সব মিলিয়েই এই সিদ্ধান্ত।