রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেন, রেলের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কোচ আমদানি করা হচ্ছে। লোকোমোটিভ আমদানির ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা ২০০ বগি আমদানির জন্য অনুমোদন পেয়েছি। আশা করি এক বছরের মধ্যে ৭০০ থেকে ৮০০ কোচ এবং ইঞ্জিন আমদানি করে ট্রেনে যাত্রী পরিবহনের ক্ষমতা এবং মাল পরিবহনের সক্ষমতা বাড়াতে পারব।
আজ বুধবার (৩ এপ্রিল) ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনে ঈদযাত্রা পরিদর্শন করতে এসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
দুর্নীতি সম্পর্কে জানতে চাইলে রেলমন্ত্রী বলেন, কোন সংস্থাই চায় না সেই সংস্থার মধ্যে দুর্নীতি থাকুক। আমরাও চাই না রেলের মধ্যে দুর্নীতি থাকুক। কেনাকাটায় সব জায়গাতেই কিছু না কিছু দুর্নীতি থাকে। অনেক বড় বড় জায়গায়ও হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে রেল অনেক ছোট জায়গা। অনেক নামিদামি জায়গাতেও ক্রয়ের ক্ষেত্রে কিছুটা দুর্নীতি থাকে। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি যেন আমাদের রেলে কোনো ধরনের এ রকম কিছু না থাকে। আমরা চেষ্টা করব সব রকম দুর্নীতি বন্ধ করতে।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন এবার যাত্রীরা যেন ঈদে নিরাপদে বাড়িতে গিয়ে ঈদ করতে পারে সেজন্য আমাদের রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে। এখানে আমরা ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর ব্যবস্থা করেছি। বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছি। যারা আসন পাবেন না তারা যেন অন্তত দাঁড়িয়ে যেতে পারেন, সেজন্য আলাদা টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঈদে যত লোক বাড়িতে যাবে, তাদের সবাইকে তো আমাদের পক্ষে পাঠানো সম্ভব নয়।
মন্ত্রী বলেন, এবার ঈদে কালোবাজারি যেন টিকিট নিতে না পারে সেজন্য আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। এসব ব্যবস্থা কিন্তু যাত্রীদের কল্যাণের জন্য। নিরাপত্তা রক্ষার জন্য আমাদের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী আছে, র্যাব, পুলিশসহ সরকারি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের সহযোগিতা করছে। আমরা আমাদের চেষ্টার ত্রুটি রাখি নাই। সাধ্যমত আমরা আমাদের প্রস্তুতি নিয়েছি।