একগাদা সাজানো জার্সির সামনে পোজ দিয়ে হাস্যোজ্জ্বল মুখে বসে আছেন লিওনেল মেসি ও তাঁর বড় ছেলে থিয়াগো মেসি। জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ থেকে শুরু করে পিকে, সুয়ারেজ, টট্টি, ফ্যাব্রিগাস কিংবা দানি আলভেস, ইকার ক্যাসিয়াস, রাউল গঞ্জালেস, ডেকো, আলেসান্দ্রো দেল পিয়েরো—সবার জার্সিই আছে সেখানে। জার্সিগুলো মেসিই সংগ্রহ করেছেন। ঐ যে, ম্যাচ শেষে সম্প্রীতিস্বরূপ প্রতিপক্ষের সঙ্গে জার্সি বদল করার একটা রীতি আছে, যেটা মেসি নিয়মিত পালন করেন। বছরের পর বছর ধরে জার্সি অদল-বদল করে মেসি নিজের বাড়িতে যেন জার্সির একটা সংগ্রহশালা খুলে বসেছেন!
আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ‘দিয়ারিও ওলে’কে সম্প্রতি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বার্সা তারকা লিওনেল মেসি। নিজের এই অসাধারণ জার্সি সংগ্রহের ব্যাপারেও কথা বলেছেন সেখানে।
আগে এ ব্যাপারে আগ্রহ না থাকলেও, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আগ্রহ গড়ে উঠেছে মেসির, ‘আমার বয়স যখন একটু বাড়ল, তখন আমি জার্সি জোগাড় করা বা স্মারক রাখার অভ্যাসটা চালু করলাম। আগে এমন অভ্যাস ছিল না আমার। এ ব্যাপারে অত মাথা ঘামাইনি আগে।’ তবে অনেক খেলোয়াড়েরই জার্সি নেই মেসির সংগ্রহে। এর মধ্যে এমন কিছু খেলোয়াড় আছেন, যাঁদের জার্সি সংগ্রহে না থাকা মেসিকেও পোড়ায়।
ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক স্ট্রাইকার রোনালদোর জার্সি না থাকার ব্যাপারটা মানতেই পারেন না মেসি
ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক স্ট্রাইকার রোনালদোর জার্সি না থাকার ব্যাপারটা মানতেই পারেন না মেসিছবি : টুইটার
তাঁদের মধ্যেই একজন হলেন রোনালদো। নাহ, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো নন। ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক স্ট্রাইকার রোনালদোর জার্সি না থাকার ব্যাপারটা মানতেই পারেন না মেসি, ‘বেশ কিছু খেলোয়াড়ের জার্সি আমার সংগ্রহে নেই, ব্যাপারটা আমার আফসোস বাড়ায়। অনেক খেলোয়াড় আছেন, যাঁদের বিপক্ষে আমি আমার ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে খেলেছি, কিন্তু জার্সি বদল করতে পারিনি, তাঁদের জার্সি সংগ্রহ করতে পারিনি। যেমন ব্রাজিলের রোনালদো নাজারিও ও রবার্তো কার্লোস। ওদের জার্সি সংগ্রহে থাকলে বেশ ভালোই লাগত।’
সব সময় জার্সি বদল করলেও, এমন কিছু সময় আসে, যখন জার্সি বদল করতে ইচ্ছা করে না আর্জেন্টাইন অধিনায়কের। কখন সেটা?
মেসির মুখ থেকেই শুনুন, ‘আমাকে অনেক জার্সি বদল করতে হয় ম্যাচ শেষে। অনেকেই জার্সি চান আমার কাছে। আমি সব সময় এ কাজ করি। হ্যাঁ, তবে ম্যাচের ফলাফলে বা কোনো ঘটনায় রেগে গেলে জার্সি বদল না করেই সরাসরি মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাই।’