ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, সকল প্রক্রিয়া শেষ করে সিঙ্গাপুর থেকে মশার লার্ভা ধ্বংসকারী জৈব কীটনাশক বিটিআই আনতে সক্ষম হয়েছি। ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে সিঙ্গাপুরের একটি বিশেষজ্ঞ টিমের শুক্র ও শনিবার কনফারেন্স হবে।
তিনি বলেন, আমাদের কর্মকর্তারা বিশেষজ্ঞ টিমের কাছ থেকে জানবেন বিটিআই কীটনাশকটি কীভাবে মিক্সিং হবে, কীভাবে ও কোথায় ব্যবহার হবে। এরপর আগামী রোববার (৬ আগস্ট) থেকে ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকায় কীটনাশক বিটিআই প্রয়োগ করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে ডেঙ্গু প্রতিরোধে গৃহীত কার্যক্রম পর্যালোচনা সম্পর্কিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় মেয়র আতিক বলেন, আমরা ডিএনসিসি থেকে কল সেন্টারের মাধ্যমে নগরবাসীকে কল করে সচেতন করছি। শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতামূলক কার্টুন বই বিতরণ করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষকদের সঙ্গে এবং ইমাম ও খতিবদের সঙ্গে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা বাড়াতে সভা করেছি। এখন কাউন্সিলররা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মসজিদের ইমাম, স্কুলের শিক্ষক ও অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে করণীয় বিষয়ে সভা করছেন।
তিনি আরও বলেন, এডিসের লার্ভা পাওয়ায় আমরা অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা করছি। বছরজুড়ে এই অভিযান পরিচালনা করা হবে। লার্ভা পেলেই জরিমানা। আমি মন্ত্রী মহোদয়কে অনুরোধ করেছি ১০টি অঞ্চলের জন্য স্থায়ীভাবে ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট পদায়ন করার জন্য। যেন তারা দীর্ঘদিন কাজ করে এডিসের লার্ভার উৎসস্থল সম্পর্কে অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারেন।
ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকের সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, বিশিষ্ট কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মলয় চৌধুরী, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম শফিকুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম প্রমুখ।