উত্তেজনার পারদ জমা ছিল ঠিক। কিন্তু হয়নি রানের পাহাড়।
১৪৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা ভারতকে প্রথম ধাক্কাটা দেন নাসিম শাহ। প্রথম ওভারেই লোকেশ রাহুলকে বোল্ড করেন তিনি। কোনো রান না করেই সাজঘরে ফেরত যান এই ব্যাটার। ওই ওভারেই জীবন পান বিরাট কোহলিও, সব মিলিয়ে আসে কেবল ৩ রান।
এরপর রোহিত শর্মার সঙ্গে নিজেদের ইনিংস ধীরে ধীরে এগিয়ে নিচ্ছিলেন বিরাট কোহলি। ১৮ বলে ১২ রান করে মোহাম্মদ নেওয়াজের বলে রোহিত ফিরলে ভেঙে যায় ৪৯ রানের এই জুটি। এরপর ৩৪ বলে ৩৫ রান করে ফিরে যান কোহলিও। বড় ধাক্কা খায় ভারতের রান তাড়া।
মাঝে ২৯ বলে ৩৫ রানের ইনিংসে দলের আশা বাঁচিয়ে রাখেন রবীন্দ্র জাদেজা। যদিও মূল কাজটা করেছেন হার্দিক পান্ডিয়া। ৪ চার ও ১ ছক্কায় ১৭ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ২ বল আগেই জয় পায় ভারত।
এর আগে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দলীয় মাত্র ১৫ রানেই অধিনায়ক বাবরকে হারিয়েছে পাকিস্তান। ৯ বলে ১০ রান করে ভুবনেশ্বর কুমারের শিকার হয়েছেন তিনি। এরপর পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আবেশ খানের বলে উইকেটরক্ষক কার্তিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ফখর জামান (১০)।
চাপের মুখে জুটি গড়েন রিজওয়ান-ইফতিখার। তবে তাদের জুটিতে রানের গতি বাড়তে থাকলে আঘাত হানেন হার্দিক পান্ডিয়া। ভারতীয় পেস অলরাউন্ডারের বলে উইকেটরক্ষক দীনেশ কার্তিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইফতিখার (২৮)। এরপর নিজের পরবর্তী ওভারে জোড়া আঘাত হানেন হার্দিক। নিজের শেষ ওভারের প্রথম বলেই তিনি বিদায় করেন রিজওয়ানকে। পাকিস্তানি ওপেনার ৪২ বলে ৪৩ রানের সাবধানী ইনিংস খেলে ফেরেন। তার ব্যাট থেকে আসে ৪টি চার ও ১টি ছয়।
হার্দিক ওই ওভারের তৃতীয় বলে সদ্য ক্রিজে আসা খুশদিল শাহকে (২) বিদায় করেন। সবমিলিয়ে ওভারে দ্বিতীয় ও নিজের তৃতীয় উইকেটের দেখা পান হার্দিক। চাপে পড়ে যাওয়া পাকিস্তান পরে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। নিয়মিত উইকেট হারাতে হারাতে শেষ ওভারের পঞ্চম বলে অলআউট হয় ।
বল হাতে ভারতের ভুবনেশ্বর কুমার ৪ ওভারে ২৬ রান খরচে নেন ৪ উইকেট। হার্দিক নেন ২৫ রান খরচে ৩ উইকেট। এছাড়া আর্শদীপ সিং ২টি ও বাকি উইকেট নেন আবেশ।