জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা আজ রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রতি তার দেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও জাপান তাদের সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত করেছে।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে আসা প্রায় এক মিলিয়ন বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিকে আশ্রয় দিয়েছে এবং আমরা তার প্রচেষ্টাকে সমর্থনদান অব্যাহত রাখব।”
গতকাল বুধবার (২৬ এপ্রিল) জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি তার অফিসে বাংলাদেশী প্রধানমন্ত্রীর সাথে একটি শীর্ষ বৈঠক শেষ করার পর তার প্রেস বিবৃতিতে বলেন, “আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত করেছি।”
তিনি আরও বলেন, উভয় দেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গভীর করতে এবং আন্তর্জাতিক মহলে সহযোগিতা সম্প্রসারণে কাজ করবে।
কিশিদা বলেন, আজকের বৈঠকে উভয়েই কৌশলগত অংশীদার হিসেবে আইনের শাসনের ওপর ভিত্তি করে অবাধ ও উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা বজায় রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন যখন আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে রয়েছে।
তিনি বলেন, গত মাসে ঘোষিত অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক পয়েন্টের নতুন পরিকল্পনার ভিত্তিতে দুই দেশ ব্যাপক ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে সম্মত হয়েছে।
তিনি বলেন, “অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে, আমরা জাপান-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তির সম্ভাবনার ওপর যৌথ গবেষণায় আরো অগ্রগতি লাভ করতে সম্মত হয়েছি।”
জাপানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে একটি আকর্ষণীয় বিনিয়োগ গন্তব্য এবং তাই আমাদের প্রত্যাশা অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নতি দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে।