1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৮ অপরাহ্ন

রোহিঙ্গা পাচার চক্রের টার্গেট মালয়েশিয়া

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভয়ংকর রোহিঙ্গা পাচার চক্র দিনে দিনে আরও কৌশলী হয়ে উঠছে । সরকার থেকে এই রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে দফায় দফায় ভাসানচরে স্থানান্তর প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলেও থেমে নেই রোহিঙ্গা পাচার চক্র । নতুন কৌশল, চক্রে জনবল নিয়োগ, নানান মৃত্যুমুখী পথ ও সীমান্ত বেছে নিয়ে বেশ সক্রিয় এ ভয়ংকর চক্র ।

তবে বাংলা ইনসাইডারের বিশেষ অনুসন্ধানে জানা গেছে , বাংলাদেশের পর রোহিঙ্গাদের বড় একটি অংশ অবস্থান করছে মালয়েশিয়ায়। সেখানেই টার্গেট করে রোহিঙ্গাদের পাঠানোর চেষ্টা করে দালালরা। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের। বিভিন্ন সময় সাগর পথে পাড়ি দিতে গিয়ে উদ্ধার হওয়া বেশির ভাগ ব্যক্তিরাই বলছেন, তাদের অনেক স্বজন রয়েছে মালয়েশিয়াতে। আর এসব স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করেই তারা বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো থেকে বের হচ্ছিলেন। তাদের আশ্রয়দাতা বেশিরভাগই মালয়েশিয়ায় বসবাসরত রোহিঙ্গা স্বজনরা। তারা সেখানে আশ্রয়ের আশায় ও ভালো থাকার লোভে পাড়ি জমায়। কিন্তু এই চিত্র ভিন্ন সেখানে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বাংলা ইনসাইডারের বিশেষ সূত্রে জানা যায় যে অভিযোগ রয়েছে, মালয়েশিয়াতে গিয়েও তারা নানান নির্যাতনের শিকার হন। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, মেয়ের বিয়ে দিতে এবং বাংলাদেশের ক্যাম্পের চেয়ে আরো ভালো থাকার জন্য তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করেন। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে, মানবপাচারকারী চক্রগুলো রোহিঙ্গাদের টার্গেট করে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা নারীদের। কারণ সে দেশে থাকা রোহিঙ্গা পুরুষদের সঙ্গে বিয়ে দেয়ার জন্য তাদের নিয়ে যায় মালয়েশিয়ায় থাকা স্বজনরা। তবে উখিয়া রোহিঙ্গা একটি ক্যাম্পের প্রধান মাঝি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রোহিঙ্গা নারীদের মালয়েশিয়া বিয়ে হলেও, ওখানে যাওয়া বড় একটি অংশ অন্যান্য দেশে যেতে চায়। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া, জার্মানসহ ইউরোপের দেশগুলোতে। ওই মাঝি বলেন, কোথাও আমাদের কেউ নেই। কিন্তু আমাদের এখানে (ক্যাম্পে) কিছু দালাল আছে। যারা স্থানীয় দালালদের সঙ্গে মিশে রোহিঙ্গা নারীদের রাজি করানোর চেষ্টা করে। তাদেরকে নানান প্রলোভনও দেখানো হয়। যেহেতু আমরা এখানে খুব কষ্টে থাকি, সবাই চায় একটু ভালো জায়গায় থাকতে। ফলে রোহিঙ্গারা সহজে রাজি হয়ে যায়। জানা গেছে, পাচারকারীরাও অতি সহজে রোহিঙ্গাদের পাচারে রাজি করাতে পারে বলে তাদের সবচেয়ে নিরাপদ মনে করে। রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে টাকা নিতে পারলে ফেরত দেয়ার ঝুঁকিও থাকে না। পাচারকারীদের লাভও হয় অনেক বেশি। বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা সূত্রে জানা যায়, এসব রোহিঙ্গারা মালয়েশিয়া গেলেও কিছু ওখানে থেকে যায়।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি