1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫০ অপরাহ্ন

লকডাউনের খবরে হতাশায় নগরীর নিম্ন আয়ের মানুষ

মোকলেছুর রহমান
  • আপডেট : শনিবার, ৩ এপ্রিল, ২০২১

সিলেট: দেশে তৃতীয় দফায় বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। এমন অবস্থায় এক সপ্তাহের লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী সোমবার থেকে শুরু হবে এ লকডাউন। কিন্তু গেলো লকডাউনের ঘাটতি কাটিয়ে উঠার আগে ফের লকডাউনের সিদ্ধান্তে অনেকটা অন্ধকার দেখছেন সিলেটের মধ্যম ও নিম্ন আয়ের মানুষ। লকডাউনের খবরেই তাদের মাঝে দেখা দিয়েছে হতাশা। করোনার ভয় থাকলেও পরিবার পরিজনের খাবার জোগান নিয়ে দুশ্চিন্তায় তারা। এ যেন মড়ার উপর খাড়ার ঘা।

শনিবার সকালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রীর লকডাউনের আগাম খবর জানানোর পর নগরীর মধ্যম আয়ের ও নিম্ন আয়ের কয়েকজনের সাথে কথা হলে মেলে হতাশার বাণী।রিকাবীবাজারে সড়কের পাশে বিকাল হলে পান সিগারেটের দোকান নিয়ে বসেন বর্জা সেন নামের একজন। বাড়ি তার জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলায়। গত লকডাউনের পর থেকে তিনি পান সিগারেটের ভাসমান দোকান নিয়ে বসেন ফুটপাতে। এর আগে অন্য পেশা থাকলেও গত লকডাউনের পর বেছে নেন পান সিগারেটের ফুটপাতের ব্যবসা। এতোদিন কোনরকম তার দিনাতিপাত হলেও এবার লকডাউনের খবরে মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। বললেন, ‘লকডাউন না, আমাদের মরার রাস্তা। একদিকেতো বের হলে করোনায় মরবো আর ঘরে থাকলে না খেয়ে মরবো। ইলেকট্রিকের কাজ করেন জালালাবাদ এলাকার বাসিন্দা ইমরান আহমদ। লকডাউনে কি ভাবছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কিছুই বুঝতে পারছি না। গত লকডাউনের ঋণ এখনো শেষ করতে পারিনি। এর মাঝে আবার লকডাউন। গেলো লকডাউনে বিভিন্ন দিক থেকে মাঝেমধ্যে সহায়তা মিলেছে। কিন্তু এবার তাও মিলবে না। মানুষ কতো দিবে? তবে চিন্তার ভাঁজ রিকশাচালক আব্দুল খালেকের কপালেও। তিনি স্ত্রী সন্তান নিয়ে থাকেন নগরীর আখালিয়া এলাকায়। কিন্তু লকডাউনে জনসাধারণ চলাচল সীমিত থাকার খবরে এখনই অন্ধকার দেখছেন। আব্দুল খালেক বলেন, লকডাউনে গরীবের যত সমস্যা। রিকশা চালিয়ে সংসার চালাই। রাস্তায় বের না হলে আমাদের পেটে ভাত পড়ে না। লকডাউনে রিকশা চালানো বন্ধ হয়ে গেলে কিভাবে খাব, কোথায় যাব আল্লাই জানেন। আর রিকশা নিয়ে বের হলেও মানুষ মিলে না। এদিকে করোনা মহামারি শুরুর দিকে সারা দেশে চলা লকডাউনে সিলেটে ব্যাপক ভাবে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন। এমনকি ব্যক্তি উদ্যোগেও বিতরণ করা হয় খাদ্যসামগ্রী। সেই সাথে থাকে সরকারী তহবিলের ত্রাণসামগ্রী। কিন্তু এবার এসব সাহায্যসামগ্রী কতটা পাওয়া যাবে তাহা নিয়েও আছে সংশয়।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি