অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম শহর সিডনিতে করোনাভাইরাসের ভারতীয় অতিসংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। তাই করোনা ঠেকাতে চলমান লকডাউন কার্যকর করতে মাঠে থাকবে দেশটির সেনাবাহিনী, এমনটাই জানিয়েছে বিবিসি।
গত জুন মাসে ডেল্টা ধরন শনাক্ত হয় সিডনিতে। করোনার এই ডেল্টা ধরনে সেখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজারের কাছাকাছি আর মারা গেছেন ৯ জন।
বৃহস্পতিবার সিডনিতে একদিনে ২৩৯ জনের শরীরে করোনভাইরাস শনাক্ত হয়। মহামারি শুরুর পর সেখানে এটিই একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। এর পরপরই চলমান লকডাউন নিশ্চিত করতে নিউ সাউথ ওয়েলস কর্তৃপক্ষ সেনা মোতায়েনের আবেদন জানায়।
পাঁচ সপ্তাহ ধরে সিডনিতে লকডাউন চলার পরও দৈনিক সংক্রমণ কমছে না। গত ২৪ ঘন্টায় সেখানে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭০ জন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সপ্তাহজুড়ে প্রশিক্ষণ নেবেন। এরপর আগামী সোমবার থেকে কার্যক্রম শুরু করবেন তারা। কিন্তু সিডনির অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, ‘সেনা মোতায়েন কি জরুরি ছিল, এটি একটু বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে গেল না?’
সিডনিতে লকডাউন বাস্তবায়নে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার জন্য পুলিশকে বাড়তি ক্ষমতা প্রয়োগে নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে করোনা সংক্রমণের আটটি হটস্পটে সেখানকার প্রায় দুই মিলিয়নেরও বেশি বাসিন্দাকে ঘরের বাইরে গেলে মাস্ক পরার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং তাদের বাসাবাড়ির পাঁচ কিলোমিটারের (তিন মাইল) মধ্যে থাকতে বলা হয়েছে।
২৫ জুন মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া লকডাউন শেষ হবে আগামী ২৮ আগস্ট। নিয়ম মানাসহ করোনা ঠেকাতে সব ধরনের তদারকির কাজে পুলিশকে সহায়তা করবে সেনাবাহিনী।