1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২২ অপরাহ্ন

লকডাউন না হলেও কিছুক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিবে সরকার : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : সোমবার, ২৯ মার্চ, ২০২১

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি মোকাবেলায় যেকোনো সময় নতুন নির্দেশনা আসবে। লকডাউন না হলেও কিছুক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিবে সরকার। রবিবার (২৮ মার্চ) রাতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক কথা বলেন ।

করোনা মোকাবেলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি বিশেষজ্ঞ কমিটি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুসারে এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্ত। এখন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে বলে জানান তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সোমবারই দেশের কিছু এলাকার জন্য ঘোষণা আসতে পারে। হয়তো বিভিন্ন টাইপের লকডাউনের ঘোষণা আসবে। এরমধ্যে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি এসব এলাকায় যাওয়া আসা বন্ধ করা, বিয়ের অনুষ্ঠান, ওয়াজ মাহফিল, পিকনিক এগুলোও বন্ধ করা হবে । জনসমাগম হতে পারে এমন অনুষ্ঠানে বিধিনিষেধ আসতে পারে।

নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রয়োজনে আগের মতোই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তাও নেওয়া হতে পারে। এছাড়া দোকানপাট ও ব্যবসাকেন্দ্র খোলা রাখার সময়সীমা ও ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা হবে কঠোরভাবে। চলবে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সড়ক, নৌ ও আকাশ পথে যাতায়াতেও আসছে নিয়ন্ত্রণ। সবচেয়ে শক্ত অভিযান হবে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য। মাস্ক ছাড়া কেউ যাতে বাইরে বের না হন সেদিকে নজর রাখা হবে সবচেয়ে বেশি। পাশাপাশি চিকিৎসা, পরীক্ষা ও টিকাদানে গতি ফেরাতেও কিছু দিকনির্দেশনা থাকবে নতুন করে। এক্ষেত্রে করোনার টিকাদান কার্যক্রম হাসপাতাল থেকে সরিয়ে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) কেন্দ্রে নেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে।

সরকার আপাতত তিন সপ্তাহের জন্য নতুন কর্মকৌশল নিয়ে মাঠে নামবে। এই কর্মকৌশলের অংশ হিসেবে কিছু নিষেধাজ্ঞা ও নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি কোন এলাকায় সংক্রমণ বেশি তা পর্যবেক্ষণ করে সেই এলাকায় জন চলাচল সাময়িক সীমিত ও নিয়ন্ত্রিত হতে পারে। বিদেশ থেকে আগতদের ক্ষেত্রেও থাকছে নতুন কিছু নির্দেশনা। সরকার প্রজ্ঞাপন আকারে এসব নতুন নির্দেশনা জারি করবে।

এ বিষয়ে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা চলতি মাসের শুরুর দিকেই একটি বৈঠক করে সরকারকে কিছু পরামর্শ দিয়েছিলাম। সরকার সেগুলো নিয়ে কাজ করছিল। কিন্তু এর মধ্যেই পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটেছে।সাধারণ মানুষেরও একটু হুঁশ হওয়া দরকার। যেখানে দেখছি শনাক্ত বেড়ে যাচ্ছে দ্রুত, বাড়ছে মৃত্যু, তারপরও মানুষের মধ্যে এর কোনো প্রতিক্রিয়া দেখছি না। মাস্ক পরছে না, মনের সুখে ঘুরে বেড়াচ্ছে, নিজেকে ও অন্যকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান বলেন, যেসব কারণে সংক্রমণ দ্রুত ও বেশি ছড়ানোর ঝুঁকি রয়েছে, সেগুলোকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ই নয়, অন্যান্য মন্ত্রণালয় মিলে সমন্বিতভাবেই নির্দেশনাগুলো কার্যকর করা হবে। জনগণকেও সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে নিজেদের সুরক্ষায় সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে।

এছাড়া চিকিৎসাব্যবস্থা জোরদার করতে ১০টি সরকারি হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে বাড়ানো হচ্ছে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) শয্যা, হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা ও বর্ধিত সেন্টাল অক্সিজেন সিস্টেম।

১৬ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও বর্তমানে করণীয় সম্পর্কে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ১২টি প্রস্তাব উত্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

সে বৈঠকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে সম্ভব হলে পুরোপুরি লকডাউনে যাওয়া, পুরোপুরি লকডাউন সম্ভব না হলে ‘ইকোনমিক ব্যাল্যান্স’ রেখে যে কোনও জনসমাগম বন্ধ করার সুপারিশ আসে। কাঁচাবাজার, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, শপিং মল, মসজিদ, রাজনৈতিক সমাগম, ভোট অনুষ্ঠান, ওয়াজ মাহফিল, পবিত্র রমজানের ইফতার পার্টি ইত্যাদি সংকুচিত বা সীমিত করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেগুলো বন্ধ আছে সেগুলো বন্ধ রাখা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কার্যক্রম সীমিত রাখাসহ ১২টি সুপারিশ এসেছিল বৈঠক থেকে।

সূত্র:  দেশ টিভি

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি