1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:০১ পূর্বাহ্ন

লক্ষ্মীপুরে জমি নিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির শিকার, অভিযোগ ভুক্তভূগীদের

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
  • আপডেট : সোমবার, ২২ মার্চ, ২০২১
  • ৩২৬ বার দেখা হয়েছে

লক্ষ্মীপুর শহরের  পৌরসভায় ২ নং ওয়ার্ডের বাঞ্চানগরে আব্দুল বেপারি বাড়ি মৃত আনোয়ার হোসেন দুলালের স্ত্রী শামসুন নেহার জমি জমা নিয়ে দীর্ঘ দিনের শত্রুতার জের ধরে একের পর এক মামলা, এমন অভিযোগ উঠেছে মামলা নারীদের বিরুদ্ধে। এদিকে  একই বাড়ির বজল হকের ছেলে আনোয়ার হোসেন, শামসুল হক, খাইরুল আলম, খায়রুল আলমের ছেলে শাহাদাত হোসেন রায়হান, সাজ্জাদ হোসেন রাহাত, স্ত্রী নাসিমা আক্তার ঝর্ণা, আবু তাহেরের মেয়ে নাজমুন নেহার লাখী আক্তার, রোজী আক্তার ও বৃদ্ধা স্ত্রী ছেতরা বেগমকে হয়রানি করছে বলে জানা যায়।পরে সামছুন নেহার বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে ৭ জনকে বাদী করে মামলা করেন। যার নং সি আর মামলা নং ২৭৩/২১. হয়রানির হীন উদেশ্য একই ব্যক্তিদের নামে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের গোয়েন্দা শাখা (স্মারক নং-১০৭৮)/২১. অভিযোগ দায়ের করেন।  শুধু তাই নয় সামসুন নেহারের চাচাশ্বশুর ওবায়দুল হক চৌধুরী বাদী হয়ে ১৯৯৪ সালে এই মামলাটি করেন। আদালত, থানা, পুলিশ সুপারের গোয়েন্দা শাখায় অভিযোগ,মামলা, এজাহারসহ নানাভাবে হয়রানি করে আসছেন বলে ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেন জানান।
আব্দুল ব্যাপারীর দুই ছেলে মোহাম্মদ মিয়া ও আনা মিয়া। মোহাম্মদ মিয়ার তিন ছেলে ও আনা মিয়ার ৬ ছেলে। আব্দুল বেপারীর দুই ছেলে মোহাম্মদ মিয়া ও আনামিয়াকে এক দলিলে (নং -২১৬৫ খতিয়ান নং ১০১১) ২ একর ৯১ শতাংশ জমি ও নাতি শামসুল হক, ফজল হক ও মুজাফ্ফর আহমদকে এক দলিলে ( নং ২১৬৬ খতিয়ান নং -৬৫৬ ও ১০১৬) ২ একর ৮৩ শতাংশ জমি সাফ কবালা করে দেন।
জানা গেছে, ১৯৯৪ সালে ওবায়দুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল লাঠিয়াল বাহিনী বজল হকের ছেলে আনোয়ার হোসেনের বসত ঘর ভেঙে নিয়ে যায় এবং ওই স্থানে শুকনো পাতার স্তুপ করে রাখে। আনোয়ার হোসেন ওই সময় বাদী হয়ে মামলা করেন এবং এই নিয়ে তৎসময়ে সাপ্তাহিক আনন্দ আকাশ ও সাপ্তাহিক দামামা পত্রিকাসহ বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
১৯৯৪ সালে পুরো বাড়ির মাপজোক হলে ওয়াকফ জমি আছে বলে ওবায়দুল হক বাদী হয়ে উকিল শালিশের আয়োজন করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত সকল কাগজপত্র পর্যালোচনা করে ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯৫ সালে আইনগত অভিমত দেন যে -‘ওয়াকপ দলিল (নং ২১৬৯) আদৌ কার্যকরী হয়নি ও তা অকার্যকর দলিল।
বিজ্ঞ আদালত আরো অভিমত দেন যে আব্দুল বেপারী নাতিদের দানপত্রে দলিলমূলে (নং ২১৬৬) গ্রহীতাগণ বৈধ ও আইনসংগত মালিক।
এরপর ওবায়দুল হক বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র বরাবর অভিযোগ (স্বারক নং-৪৭৮/১১) দায়ের করলে বিজ্ঞ আইনজীবী সমুদয় কাগজপত্র পর্যালোচনা করে ৯ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে অভিমত দেন-২১৬৯নং ওয়াকপ দলিল কার্যকর হয়নি এবং বিরোধী ও ওল্ড পেটি ২১৫ নং খতিয়ান তুলনামূলক পেটি জরিপি ৬৫৬নং খতিয়ান ভূমি ওয়াকপ ভূমি নহে। তাহা ব্যক্তিমালিকানাধীন ভূমি হয়।
ওবায়দুল হক চৌধুরীর মৃত্যুর পর তার ভাতিজা বউ শামসুন্নাহার হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন বলে ভুক্তভোগীরা জানান।এ বিষয়ে শামসুন্নাহার এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন-‘উকিলের সাথে আলাপ করলে সব বিস্তারিত জানতে পারবেন। আমি কি বলবো! উপরোন্ত শামসুন্নাহার আনোয়ার হোসেন দের দোষারোপ করে বলেন- ‘তারা বারবার পুলিশ নিয়ে এসে আমার ঘর করার কাজে বাধা দেয়।নিরাপত্তার জন্য খায়রুল আলম বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর আমলি আদালতে সাধারণ ডায়েরি করেন।যাহার ডায়েরি নং – ৩৪/২১।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি