লখনৌ সুপার জায়ান্টস ১৬ পয়েন্ট নিয়ে অনেকটাই এগিয়েছিল। রাজস্থানকে আজ হারাতে পারলে প্লে-অফ নিশ্চিত হয়ে যেতো তাদের। এছাড়া ১৪ পয়েন্ট করে নিয়ে নিজেদের এগিয়ে রেখেছিল রাজস্থান রয়্যালস এবং রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুও।
কিন্তু আজ লখনৌ পারেনি নিজেদের প্লে-অফ নিশ্চিত করতে। মুম্বাইয়ের ব্র্যাবোর্ন স্টেডিয়ামে লখনৌ সুপার জায়ান্টসকে ২৪ রানে হারিয়ে প্লে-অফের পথে অনেকদুর এগিয়ে গেছে রাজস্থান রয়্যালস। তবে, লখনৌকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে তারা।
১৩ ম্যাচ শেষে রাজস্থানের পয়েন্ট দাঁড়ালো ১৬। লখনৌয়ের পয়েন্টও ১৬। যদিও রান রেটে পিছিয়ে রয়েছে তারা। এদিকে ১৬ পয়েন্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ব্যাঙ্গালুরু, দিল্লি ক্যাপিটালস এবং পাঞ্জাব কিংসেরও।
অর্থ্যাৎ, শেষ তিনটি স্থানের জন্য লড়াইয়ে রয়েছে আরও ৫টি দল। যদিও এক ম্যাচে পরস্পর মুখোমুখি হবে দিল্লি এবং পাঞ্জাব। ওই ম্যাচের পরাজিত দল নিশ্চিত ছিটকে যাবে গ্রুপ পর্ব থেকে।
আজ লখনৌ হারার কারণে গুজরাট টাইটান্সের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্লে-অফে খেলা নিশ্চিত হয়ে গেলো। ১৩ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২০। বাকি এক ম্যাচ গুজরাট হারলেও এবং অন্যরা জিতলেও হার্দিক পান্ডিয়ার দলের সমান হওয়া বা পেছনে ফেলাও সম্ভব হবে না।
রাজস্থানের করা ১৭৮ রান তাড়া করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৫৪ রানে থেমে গেলো লখনৌ সুপার জায়ান্টস। ট্রেন্ট বোল্টের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে থেমে যেতে হয় লখনৌকে। ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন বোল্ট। ব্যাট হাতেও ৯ বলে ১৭ রান করেছিলেন তিনি। যে কারণে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও দেয়া হয় তাকে।
জয়ের জন্য ১৭৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বিপদে লখনৌ। ৭ রান করে আউট হয়ে যান কুইন্টন ডি কক। লোকেশ রাহুল আউট হন ১৯ বলে ১০ রান করে। আয়ুশ বাদোনি তো কোনো রানই করতে পারলেন না।
দিপক হুদা একাই লড়াই করলেন। ৩৯ বল খেলে তিনি করেন ৫৯ রান। ক্রুনাল পান্ডিয়া করেন ২৫ রান। মার্কাস স্টোইনিজ করেন ২৭ রান। বাকিদের মধ্যে মহসিন খান ৭ বলে ৯ রান করে অপরাজিত থাকেন।