লাহিরু কুমারার প্রায় ইয়র্কার লেন্থের বলটা ঠেকাতে পারলেন না খালেদ আহমেদ, হয়ে গেলেন বোল্ড। ইতি ঘটলো লম্বা এক সিরিজের।
সময়ের হিসাবে তো বটেই, অস্বস্তির দিক থেকেও। খালেদকে এসে পরে অভিবাদন জানালেন শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটাররা।
মেহেদী হাসান মিরাজ এসে খালেদের কাছে জানতে চাইলেন কিছু একটা। দুই টেস্টের সিরিজের প্রায় কখনওই প্রতিপক্ষের চেয়ে এগিয়ে থাকতে না পারার বেদনা তাদের। সেভাবে লড়াইও করতে পারেনি বাংলাদেশ। ব্যাটিং ব্যর্থতার দৃশ্যপটও সামনে চলে এসেছে বারবার।
ক্রিকেটারদের নিবেদন, মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে খোদ বিসিবি থেকেই। ইতিবাচকতা? খুঁজে পাওয়া মুশকিল, তবুও হয়তো বোলিংয়ে খুঁজে পাওয়া যাবে দুয়েকটা। তবে ব্যাটিং ও বাকি সবকিছু মিলিয়েই লম্বা একটা সতর্কবার্তা বাংলাদেশের জন্য- সামনে খেলতে হবে আরও অনেকগুলো টেস্ট।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের শেষটিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৯২ রানে জিতেছে শ্রীলঙ্কা। প্রথম ইনিংসে ৫৩১ রান করে তারা। পরে বাংলাদেশ অলআউট হয় স্রেফ ১৭৮ রানে। ফলো অন না করিয়ে আবার ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১৫৭ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে লঙ্কানরা। ৫১১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৩১৮ রান করে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ।
ম্যাচের ভাগ্য মূলত নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল আগেই। শেষদিনে বাকি ছিল কেবল আনুষ্ঠানিকতা। কত দ্রুত শ্রীলঙ্কা তুলে নিতে পারে বাংলাদেশের বাকি তিন উইকেট, অথবা ব্যবধান কতটুকু কমাতে পারেন মেহেদী হাসান মিরাজরা- সেটিই ছিল দেখার।
সবমিলিয়ে শেষদিনে প্রায় ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট খেলতে পেরেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ব্যক্তিগত অর্জনে হাফ সেঞ্চুরি যোগ হয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের নামের পাশে। তাইজুল ইসলাম, হাসান মাহমুদদের নিয়ে বেশ ভালো লড়াইও করেছেন তিনি।
সকালে বাংলাদেশকে প্রথম আঘাত করেন কামিন্দু মেন্ডিস। তাইজুল ইসলামকে ফিরিয়ে টেস্টে প্রথমবার বল হাতে নেওয়া ইনিংসে তিন উইকেট পেলেন তিনি। ২৮ বলে ১৪ রান করা তাইজুলের ক্যাচ গলিতে নেন নিশান মাদুশকা।
এরপর মিরাজের সঙ্গী হন হাসান মাহমুদ। তিনি সঙ্গে থাকতেই হাফ সেঞ্চুরি ছুয়েও ছুটছিলেন মিরাজ। কিন্তু হাসানের ২৫ বলের ইনিংসের ইতি ঘটে লাহিরু কুমারার বলে। শরীর বরাবর আসা বাউন্সারে পাশেই হেলমেট পরে দাঁড়িয়ে থাকা মাদুশকার হাতে ক্যাচ দেন তিনি।
এরপর অপেক্ষা ছিল কতক্ষণ মেহেদী হাসান মিরাজ থাকতে পারেন বা করতে পারেন কত রান। তিনি ছুটছিলেন সেঞ্চুরির পথেই। কিন্তু ৮ বলে ২ রান করে খালেদ আউট হয়ে গেলে অপরাজিতই থাকতে হয় মিরাজকে। ১১০ বলে ৮১ রান করেছেন তিনি।