লন্ডনের পুলিশ বলেছে, এক দিন আগে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ চলাকালীন বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারের পর রোববার আরো পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই বিক্ষোভে গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতির জন্য হাজার হাজার মিছিল করতে দেখা যায়।
মেট্রোপলিটন পুলিশ নয় জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে দুইজনকে পুলিশ কর্মকর্তাদের ওপর হামলার সন্দেহে ও সাতজনকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।
মেট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় ট্রাফালগার স্কোয়ারে একটি ঘটনার পর জাতিগত বিদ্বেষকে উসকে দেয়ার সন্দেহে রোববার সকালে আরও ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অভিযুক্ত পাঁচজনের মধ্যে, ১৬ ও ৫১ বছর বয়সী দুজনকে হুমকি ও বর্ণবাদী প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করে জাতিগত বিদ্বেষ উসকে দেয়ায় অভিযুক্ত করা হয়।
অন্যদের বিরুদ্ধে একজন বিক্ষোভকারীর দিকে বিয়ারের ক্যান নিক্ষেপ এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের ওপর মৌখিক ও শারীরিক হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ব্রিটিশ মিডিয়া অনুসারে, প্রায় ১ লক্ষ লোক শনিবার লন্ডনে ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’-এ যোগ দেয়। মিডিয়া, বিক্ষোভে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের খবরও জানিয়েছে। তবে, আয়োজকরা দাবি করেছে, এক সপ্তাহ আগে ৩ লক্ষের মতো এবং এই শনিবার ৫ লক্ষ লোক বিক্ষোভে অংশ নেয়।
লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ মার্চে টহল দেওয়ার জন্য এক হাজারের বেশি পুলিশ মোতায়েন করেছে।
এএফপির একজন ফটোগ্রাফার জানান, রোববার বিকেলে হামাসের হাতে জিম্মিদের প্রতিকৃতি ধারণ করে প্রায় ২০০ জন লোক লন্ডনে কাতারি দূতাবাসের বাইরে তাদের মুক্তির আহ্বান জানাতে জড়ো হয়।
ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মতে, ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলায় গাজা সীমান্ত পেরিয়ে ১,৫০০ জনকে হত্যা করে ও ২৩০ জনকে অপহরণ করে। নিহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, প্রতিশোধমূলক ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে ৮ হাজারেরও বশি মানুষ নিহত হয়েছে। এদের বেশির বেসামরিক নাগরিক এবং অর্ধেক শিশু।
খবর এএফপি