নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি ডিসেম্বরের মধ্যেই রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটক দেশের দুর্গম হাওর এলাকায় ইন্টারনেট ও ভয়েস সেবা পৌঁছে দিতে নেটওয়ার্ক চালু করছে বলে অপারেটরটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাব উদ্দিন জানিয়েছেন। সোমবার ফেইসবুকে টেলিটেকর ভেরিফায়েড পেইজে লাইভে এসে আরও বেশ কয়েকটি বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। টেলিটক এমডি সাধারণ গ্রাহকদের বিভিন্ন সমস্যা ও মতামত শোনেন এবং সে অনুযায়ী সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘যেখানে অন্যান্য অপারেটররা যায়নি সেখানে টেলিটকের নেটওয়ার্ক রয়েছে, পার্বত্য এলাকাসহ সুন্দরবনে নেটওয়ার্কের আওতায় আছে। এছাড়া খুব শিগগিরই হাওড় এলাকায় নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসার কাজ চলছে। আশা করি, হাওড় এলাকায় নেটওয়ার্ক এ মাসেই চালু করা হবে। সরকারের উদ্দেশ্য দেশের প্রতিটি ইঞ্চিতে যেন টেলিটকের কানেকটিভিটি থাকে।’
কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণা, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, পার্বত্য এলাকা, নোয়াখালী ও কয়েকটি ছিটমহলে এ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে কাজ করছে টেলিটক। এ প্রকল্পে প্রায় ৩৮০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে এবং এসব সাইটে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করা হবে ফোর-জি প্রযুক্তির মাধ্যমে।
টেলিটকের বিনিয়োগ কম থাকায় চাহিদা অনুযায়ী সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না দাবি করে সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘টেলিটকের গ্রাহকের ব্যবহারের টাকায় এ প্রতিষ্ঠান বেঁচে আছে। টেলিটকের বিনিয়োগ মাত্র সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা, সাড়ে ৫ হাজার বিটিএসের মধ্যে তিন হাজার ৩০০ বিটিএস দিয়ে ফোর-জি সেবা দেওয়া হচ্ছে। টুজি আমাদের গ্রাম পর্যায়ে রয়েছে। গ্রাম পর্যন্ত আমরা ফোরজিতে চলে যেতে চাই।’
লাইভে টেলিটক গ্রাহকরা ফোর-জি নেটওয়ার্ক সহজলভ্য, ইন্টারনেট ডেটা খরচ কমনোসহ নানা দাবি তোলেন। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির হিসাবে গত অক্টোবর নাগাদ দেশে চার অপারেটরের গ্রাহক সংখ্যা ১৬ কোটি ৮০ লাখের বেশি। এর মধ্যে টেলিটকের গ্রাহক মাত্র ৪৬ লাখ ১৮ হাজার।