লাদাখের চীনা সীমান্তে অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে ৫০ হাজারেরও বেশি সৈনন্যসহ বিশেষ মহড়া করেছে ভারত। ভারতের তৈরি যুদ্ধাস্ত্র ধানুশ হাউতজার, টি-৯০ ও টি-৭২ ট্যাঙ্ক নিয়ে বিশেষ এই মহড়া পরিচালনা করা হয়।
আজ রোববার (৯ জুলাই) ভারতীয় সেনা কর্মকর্তারা বলেছেন, নিজেদের সামরিক অবস্থা জানান দিতেই এ ধরনের মহড়া। যেকোনো আক্রমণের জবাবে সেনাবাহিনীও প্রস্তুতি।
তারা আরও বলেন, শত্রুরা যখন সীমান্ত দখলের চেষ্টা করবে, তার যোগ্য জবাব দেবে ভারত। এর আগে সিকিম-ভূটান ও তিব্বত সীমান্তে চীনা সামরিক বাহিনীর উপস্থিতিতে উদ্বেগ ও উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। তাই সামরিক অবস্থান জানান দিতে লাদাখের চীনা সীমান্তে বিশেষ মহড়া ভারতের।
২০২০ সালে লালফৌজ পূর্ব লাদাখে হামলা চালানোর পর থেকেই সেখানে প্রচুর পরিমাণে ট্যাঙ্ক এবং সাঁজোয়া গাড়ি মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উল্লেখ্য, আগে পঞ্জাব সেক্টরে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তান ফ্রন্ট বরবার এই ধরনের মহড়া ব্যাপকভাবে পরিচালিত করত।
২০১৩-১৪ সালে পূর্ব লাদাখে ট্যাঙ্ক বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে শুরু করে। কিন্তু ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের ঘটনার পর সেখানে ট্যাঙ্কের সংখ্যা বহুগুণ বেড়ে যায়। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে তিব্বতের সামরিক ঘাঁটিগুলিতে প্রচুর সংখ্যক যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছিল চীন।
এ নিয়ে নতুন করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়। তারই পাল্টা হিসেবে পূর্ব লাদাখে ভারতের এই মহড়া কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা।
কয়েক দিন আগে সাংহাই কো-অপারেশন সংস্থার বৈঠকে সীমান্ত পরিস্থিতি ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ে নাম না করে চীন ও পাকিস্তানকে নিশানা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । এর পরই লাদাখে ভারতীয় সেনার এই মহড়া যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।