এবার মৌসুমের শুরু থেকেই যেন নিজেদের হারিয়ে খুঁজছে লিভারপুল, খেলায় তেমন ধার নেই, ক্লপের ট্যাকটিকসও মুখ থুবড়ে পড়ছে হরহামেশাই। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মৌসুমের প্রথম ম্যাচে লিভারপুলের খামতিগুলোকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল নাপোলি, ঘরের মাঠে ক্লপের দলকে ৪-১ গোলে ধসিয়ে দিয়ে।
নাপোলিকে লিভারপুলের চেনা প্রতিপক্ষ বলা যায়, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গত পাঁচ মৌসুমে এই নিয়ে তিনবার মুখোমুখি হলো তারা। তবে নাপোলির মাঠ এস্তাদিও ডিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা ক্লপের জন্য সাক্ষাৎ আতঙ্কের নাম। সেরা ছন্দে থাকার সময়েও এই মাঠ থেক জয় নিয়ে ফিরতে পারেনি ক্লপের দল, তার অধীনে এই মাঠে আগে দুইবার খেলে দুইবারই জয়বঞ্চিত ছিল তারা। তৃতীয়বারের চেষ্টাতেও সেই ‘প্রথা’ ভাঙতে পারলেন না ক্লপ, উল্টো বিব্রতকর এক হার দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মৌসুম শুরু হল তাদের।
ম্যাচের প্রথম বাঁশি থেকেই লিভারপুলকে কাঁপিয়ে দেয় নাপোলি। দ্বিতীয় মিনিটেই পোস্টে লেগে প্রতিহত হয় দলটির স্ট্রাইকার ভিক্টর ওসিমেনের প্রচেষ্টা। তবে গোলের জন্য তাদের বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি। পঞ্চম মিনিটে পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে দেন নাপোলি মিডফিল্ডার পিওতর জিলেনস্কি। ১৮ মিনিটে আরও একটি পেনাল্টি পায় নাপোলি তবে এবার স্পট কিক থেকে বল জালে পাঠাতে ব্যর্থ হন ওসিমেন।
৩১ মিনিটে জিলেনস্কির অ্যাসিস্টে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আন্দ্রে-ফ্রাঙ্ক জাম্বো আঙ্গুইসা। প্রথমার্ধের অন্তিম লগ্নে আরও একবার লিভারপুলের জাল কাঁপিয়ে তাদের এক প্রকার ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় নাপোলি। এবার দলটির হয়ে লক্ষ্যভেদ করেন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ কোচ ডিয়েগো সিমিওনে পুত্র জিওভান্নি সিমিওনে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আবারও লিভারপুলের জালে বল জড়ান জিলেনস্কি।
মাত্র ৪৭ মিনিটে ৪ গোল হজম করে লিভারপুলকে কিছুটা স্বস্তি এনে দেন কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড লুইস দিয়াজ। ৪৯ মিনিটে প্রায় ২০ মিটার দূর থেকে তার বাঁকানো শটে ম্যাচে ‘লাইফলাইন’ পায় লিভারপুল। তবে ম্যাচের বাকি সময়ে আর নাপোলির জালে বল জড়াতে পারেনি ইংলিশ ক্লাবটি। ফলে বড় হার দিয়েই শুরু হয় লিভারপুলের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মৌসুম।