ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪ এর বাছাইপর্বের ম্যাচে গত রাতে লুক্সেমবার্গের মুখোমুখি হয়েছিল পর্তুগাল। ঘরের মাঠে দুর্বল প্রতিপক্ষের জালে রীতিমত গোল উৎসবই করেছে পর্তুগীজরা। ম্যাচের ১২ মিনিটে প্রথম লক্ষ্যভেদ করার পর ব্রুনো ফার্নান্দেজরা শেষ পর্যন্ত জয় পেয়েছে ৯-০ ব্যবধানে।
বাছাইপর্বের আগের ম্যাচে স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে খেলায়ও জয় পেয়েছিল পর্তুগাল। তবে সে ম্যাচে গোল করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষকের মুখে বুট দিয়ে আঘাত করেছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এ কারণে রেফারি হলুদ কার্ড দেখিয়েছিলেন তাকে। ফলে পরপর দুই ম্যাচে কার্ড দেখায় এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েন পর্তুগীজ মহাতারকা। ফলে গত রাতে লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে দলে ছিলেন না।
এদিকে দলের সেরা তারকা না থাকলেও জয় তুলে নিতে কোনো সমস্যাই হয়নি ব্রুনো, গনজালো রামোসদের। বরং প্রতিপক্ষের জালে একের পর এক লক্ষ্যভেদ করেছেন তারা।
রোনালদোকে ছাড়া খেলতে নেমে ম্যাচের শুরু থেকেই লুক্সেমবার্গের উপর চড়াও হয়েছিল পর্তুগাল। ফলে ১২ মিনিটেই পায় প্রথম গোলের দেখা। ব্রুনোর দেয়া পাসে প্রথম গোলটি করে গনজালো ইনাসিও। এর ৫ মিনিট পরই দলের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন কাতার বিশ্বকাপে নজরকাড়া তরুণ ফুটবলার রামোস।
এরপর ম্যাচের ৩৩ মিনিটে দলের তৃতীয় এবং নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন রামোস। রাফায়েল লিওর দেয়া পাসে বাঁ পায়ের নেয়া শটে স্কোরলাইন ৩-০ করেন তিনি। এরপর বিরতিতে যাওয়ার আগেই প্রথমার্ধ্বের যোগ করা সময়ের শেষদিকে আরও একটি গোল করেন ইনাসিও। ফলে ৪-০ স্কোরলাইন নিয়ে বিরতিতে যায় পর্তুগীজরা।
এদিকে বিরতির পর যেন আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে পর্তুগীজ ফুটবলাররা। দ্বিতীয়ার্ধ্বে ৫৭ মিনিটের সময় ব্রুনোর দেয়া পাসে দলের পঞ্চম গোল করেন দিয়েগো জটা। মিনিট দশেক পরে আবারো লুক্সেমবার্গের জালে লক্ষ্যভেদ করেন পর্তুগীজ ফুটবলার রিকার্ডো হোর্তা। আর ৭৭ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন জটা।
এদিকে সতীর্থদের মত কাল গোলের দেখা পেয়েছেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ এবং জাও ফেলিক্সও। ৮৩ এবং ৮৮ মিনিটে এ দুই পর্তুগীজ গোল করলে শেষ পর্যন্ত ৯-০ গোলের বড় এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রোনালদোবিহীন পর্তুগাল।